টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তৃণমূলে (TMC) ফেরার পর এখনও ২৪ ঘণ্টা কাটেনি। তার আগেই নবান্নের তরফে সুজাতা মণ্ডল খাঁ’র জন্য বিশেষ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হল। জানা গিয়েছে, কলকাতায় তাঁর নিরাপত্তায় তিনজনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় সুজাতার বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন একজন এএসআই এবং কনস্টেবল। মঙ্গলবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে দলবদলের জল্পনা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক যে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লেখাবেন তা নিয়ে দিনকয়েক আগে পর্যন্ত চলেছে বিস্তর আলোচনা। দলবদলের পর সেই আলোচনা মিটেছে। তবে জল্পনার অবকাশ দেননি সুজাতা মণ্ডল খাঁ। আচমকাই সোমবার বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে ফিরেছেন তিনি। দলে যোগের সময় নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেন। তাঁর স্বামী সৌমিত্রও বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূল আসতে পারেন বলে জল্পনার রসদ জুগিয়েছিলেন সুজাতা।
[আরও পড়ুন: বাইপাসের অভিজাত বহুতল লাগোয়া বসতিতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি]
কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নাটকীয়ভাবে বদলে যায় গোটা চিত্রই। দলবদল তো দূর অস্ত। পরিবর্তে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) নিজের ঘরনির ‘ঘর ওয়াপসি’ই সেভাবে মেনে নিতে পারেননি। তাই তো তৃণমূলে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন সৌমিত্র। দশ বছরের সম্পর্কে ইতি টানতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাংসদ। সুজাতারও অবশ্য একইরকম অবস্থা ছিল সেই সময়। তিনিও চোখের জল মুছে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত প্রায় জোর করেই মেনে নেন।
বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস হাতে পেয়ে গিয়েছেন সুজাতা (Sujata Mandal Khan)। আইনি নোটিসে স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন সৌমিত্র। তাঁর আইনজীবী নোটিসে উল্লেখ করেন, সুজাতা হাইপার টেনশনের রোগী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সৌমিত্রর পরিজনদের সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না। এমনকী সৌমিত্রকে সুজাতা সন্দেহ করতেন বলেও নোটিসে উল্লেখ রয়েছে। সুজাতার বিরুদ্ধে স্বামীকে মারধরের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও রাজনৈতিক দিকে বিজেপিতে পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এবং পরবর্তীকালে তৃণমূলে যোগদানের জন্য সৌমিত্রর উপর সুজাতা চাপ তৈরি করেন বলেও নোটিসে দাবি সৌমিত্রর আইনজীবীর।