সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতায় ইস্ট-ওয়েস্ট (East-West) মেট্রো তৈরির নেপথ্যের কারিগর তিনিই। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রস্তাব পাশ করিয়ে কাজে গতি আনার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর সেই প্রচেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখেছে। জোকা পর্যন্ত মেট্রো রেলের কাজ অনেকটাই শেষ। চলতি বছরের শেষদিক থেকে হয়ত পরিষেবাও চালু হয়ে যাবে। আর বেহালার দুই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে এই মেট্রো রেলকেই হাতিয়ার করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেহালার জনসভা থেকে তাঁর প্রতিশ্রুতি, ”আমি থাকলে এই জায়গায় ১ বছরে মেট্রো করে দিতাম। আমি ভবিষ্যৎটা জানতাম। সবই আমার করা। এবার জোকা থেকে ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour)পর্যন্ত মেট্রো করে দেব। আমি জানি কীভাবে কাজ করতে হয়।”
আগামী ১০ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫ টি আসনের মধ্যে ভোট হবে বেহালার দুই কেন্দ্র – বেহালা পূর্ব ও বেহালা পশ্চিমে। তার আগে আজ শেষ জনসভায় বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দুই প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসমর্থন টানতে গিয়ে বেহালার সামগ্রিক পরিস্থিতির উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ”বেহালার বেহাল দশা ছিল। আমরা তার উন্নতি ঘটিয়েছি। যোগাযোগ ব্যবস্থা, সড়কপথ, নিকাশী ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে এখানে। আগামী দিনে এখানে জল জমার সমস্যাও থাকবে না। আমরা ADB থেকে ৪৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছি। শোধ করতে কষ্ট হবে, তবুও কাজের জন্য তা আমরা করেছি। নিকাশী ব্যবস্থা নিয়ে আর কোনও অভিযোগ থাকবে না।” এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”আগের মেয়রকে বলতাম, কেন এখানে রাস্তার এই অবস্থা। জানেন তো আমি কাউন্সিলরের চেয়ে ভাল কাজ করি। কোথাও সামান্য গন্ডগোল দেখতে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। সেভাবেই এখানকার রাস্তাঘাট দেখে দ্রুত মেরামতির কথা বলেছিলাম।”
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে শোকজ করে লাভ নেই’, ‘সংখ্যালঘু’ মন্তব্যে অনড় মমতা]
এরপর বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আক্রমণ শানান তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, ”যদি মা-মাটি-মানুষের সমর্থন থাকে, তাহলে চ্যালেঞ্জ করছি, বিজেপিকে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে হারাবই। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি এরা টাকা দিয়ে কিনে রেখেছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের সঙ্গে সুবিচার করছে না। এত অভিযোগ রয়েছে আমাদের তরফে, কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। এটা গোটা পৃথিবীর কাছে লজ্জার।” তবে এদিন তাঁর বক্তব্যে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত মেট্রো সংযোগ চালু করার প্রতিশ্রুতিই নজর কেড়েছে। এই বক্তব্যেই ইঙ্গিত, আগামী দিনে দিল্লিতে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেত্রী, তা স্পষ্ট।