সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ এপ্রিলের স্মৃতি এখনও টাটকা। তাই বৃহস্পতিবার পুননির্বাচনের দিনও শীতলকুচির বাসিন্দাদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। ভয়ে নিয়েই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। এদিনও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি উঠে এসেছে ওই এলাকা থেকে।
গত ১০ তারিখ, রাজ্যে চতুর্থ দফা ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচি (Sitalkuchi) বিধানসভা কেন্দ্রের জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে ঘটে গিয়েছিল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। বুথের বাইরে জমায়েত হঠাতে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। এ নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে ভোটের বঙ্গ। সেখানে ফের ভোটগ্রহণের দাবি ওঠে। গোটা ঘটনা এতটা স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে যাতে সবদিক খতিয়ে দেখে তবেই সেখানে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায় নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে ভোটের দিনক্ষণ জানায় নির্বাচন কমিশন। ২৯ এপ্রিল অর্থাৎ আজ অষ্টম দফায় ফের ভোট হচ্ছে ওই বুথে। সকাল সকাল বুথে হাজির হয়েছন স্থানীয়রা। তবে প্রত্যেকের চোখ-মুখ বুঝিয়ে দিচ্ছে, ১০ এপ্রিলের স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি কেউ। তাই প্রত্যেকেই চাইছেন দ্রুত ভোট দান সেরে বাড়ি ফিরতে।
[আরও পড়ুন: ‘ওরা খুঁজে পায়নি, ওদের দোষ’, দিনভর লুকোচুরি নিয়ে কমিশনকেই দুষলেন অনুব্রত]
কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত এক যুবকের আত্মীয় এদিন সকালেই হাজির হয়েছেন বুথে। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রের নির্দেশেই প্রাণ গিয়েছে ভাইপোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে বিচার মিলবে। বাংলা বাঁচবে। তাই ভোটদান করতে বুথে।” এলাকার অধিকাংশের গলাতেই একই সুর। তবে এদিনও শীতলকুচিতে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে, তা বলা যাবে না।
বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শুরুর পরই শীতলকুচির বিজেপি প্রার্থী বরেন বর্মনের বিরুদ্ধে দলীয় পতাকা লাগানো গাড়িতে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রবেশের অভিযোগ ওঠে। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। একই সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধেও উগরে দেন ক্ষোভ। দিনহাটার আইসির সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়ান তিনি। অর্থাৎ পুননির্বাচনেও অশান্তি শীতলকুচিতে।