শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সর্বভারতীয় স্তরে ডাক্তারি পরীক্ষা নিটের (NEET) প্রস্তুতি নিতে রাজস্থানের কোটায় গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির ছাত্র। আর সেটাই কাল হল তাঁর। ছ’তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হল ধূপগুড়ির বাসিন্দা ঈশাংশু ভট্টাচার্য নামে ওই ছাত্রর। বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে বারান্দায় দাঁড়িয়ে গল্প করার সময় আচমকাই ছ’তলার বারান্দা থেকে পড়ে যায় সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ঈশাংশুর। বাড়িতে খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে ধূপগুড়ি শহরে।
নিটে সুযোগ পাওয়াই ছিল লক্ষ্য। তাই প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গত বছর রাজস্থানের কোটায় ভরতি হয় ঈশাংশু। ঈশাংশুর বাবা দেবজিৎ ভট্টাচার্য ধূপগুড়ির একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ছেলের ইচ্ছেপূরণে কোনওরকম খামতি রাখেননি তিনি। তাই ছেলে কোটায় ভরতি হওয়ার কথা জানালে তিনি সেখানে পাঠিয়ে দেন। আর সেই সিদ্ধান্তের জেরে যে ছেলেকে এভাবে হারাতে হবে, ভাবতেও পারেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘দিদির দূত’দের কাছে পেয়েই ক্লাবের দাবিতে ঘিরে ধরলেন একদল যুবক, তীব্র উত্তেজনা কান্দিতে]
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার দিন রাত দশটা নাগাদ মায়ের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয় ঈশাংশুর। তার কিছুক্ষণ পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময় বন্ধুদের সঙ্গে বারান্দায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিল ঈশাংশু। দুর্ঘটনার সেই ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তাতে দেখা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে করতে তারজালি দিয়ে ঘেরা বারান্দায় হেলান দেওয়ার চেষ্টা করলে ঘেরা বারান্দার ফাঁক গলে নিচে পড়ে যায়। তারপর সব শেষ।
[আরও পড়ুন: ফের জনপ্রিয়তম রাষ্ট্রনেতার খেতাব মোদির মুকুটে, পিছনে বাইডেন-সহ তাবড় বিশ্বনেতারা]
বৃহস্পতিবার রাতেই ধূপগুড়ির বাড়িয়ে পৌঁছয় দুঃসংবাদ। কোটা পুলিশের তরফে ঈশাংশুর বাবাকে ফোন করে ছেলের মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়। দ্রুত রাজস্থানে পৌঁছনোর কথা বলা হয় তাঁদের। সেইমতো শুক্রবারই রাজস্থানে পৌঁছে যান ঈশাংশুর বাবা। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে কোটা থানার পুলিশ। পরিবারের সঙ্গে থানা সুদীপ্ত সাহা জানান, রাতে দেহ নিয়ে দিল্লি পৌঁছবেন। রবিবার বিমানে বাগডোগরা হয়ে দুপুরে ধূপগুড়ি পৌঁছবেন তাঁরা। মেধাবী ছাত্রের এহেন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ঈশাংশুর বন্ধুরাও।