ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সুন্দরবন (Sunderbans)-সহ রাজ্যের সমুদ্র উপকূলে ভাঙন রোধে বিপুল সংখ্যক ম্যানগ্রোভের (Mangrove) চারা রোপণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বনদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর সেই সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি। আর এই কাজের জন্য দেশজুড়ে সমুদ্র ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে ফের বাংলাকে মডেল (Model) হিসাবে ধরা হল। গোটা দেশেই সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ভাঙন রুখতে তাই ম্যানগ্রোভের চারা রোপণের প্রস্তাব দেওয়া হল এ রাজ্যের সরকারকেই।
সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলনে (G20 Summit)কেন্দ্র সরকারের একাধিক প্রতিনিধি রাজ্যের নানা জায়গায় ঘুরেছেন। তখনই রাজ্য বনদপ্তরের এই ম্যানগ্রোভ রোপণের কর্মসূচি জানতে পারে কেন্দ্র সরকার। এই উদ্যোগ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) কথায়, “জি ২০-র দলটি দপ্তরের কাজ দেখে খুশি হয়ে এ নিয়ে জানতে চায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পরামর্শ মেনে এই কাজ হচ্ছে বলে জানান দপ্তরের আধিকারিকরা। তারপরই প্রস্তাব আসে কেন্দ্রীয়ভাবে আমাদের রাজ্যের বনদপ্তর কাজ করুক সমস্ত সামুদ্রিক ভাঙনের এলাকায়।”
[আরও পড়ুন: ‘বেবি রানাউত আসছে…’, শাড়ি-গয়নায় সেজে সুখবর দিলেন কঙ্গনা! শুভেচ্ছা অনুপম খেরের]
তবে এখনই সেই কাজ শুরু হচ্ছে না। প্রথামাফিক প্রস্তাব যাবে রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্য সরকারের অনুমোদন মিললে তবেই সেই কাজের বরাত আনুষ্ঠানিকভাবে পাবে বনদপ্তর। তার আগে আরও একটি কাজ অবশ্য রয়েছে। বনদপ্তরের একটি বিশেষজ্ঞ দল এরপর সমুদ্র উপকূলবর্তী (Sea Shore) এলাকার ভাঙনের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করবে। প্রয়োজনমতো এলাকা ঘুরে সমীক্ষা করবে। তার বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্য সরকারকে দেওয়া হবে। তারপরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সেক্ষেত্রে রাজ্য বনদপ্তর এই কাজ করলে তাদের সুনামও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন মন্ত্রী।