সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কুয়েতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে বাংলার শ্রমিকের। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার তাঁর দেহ দেশে ফেরানো হবে। দিল্লি থেকে বাংলায় পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে মৃতদেহ। তবে আর কোনও বাঙালি শ্রমিক আচেন কিনা তা এখনও জানতে পারেনি বিদেশমন্ত্রক।
ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার কুয়েতের জন্য রওনা দিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। আহতদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থলও ঘুরে দেখবেন তিনি। বিদেশমন্ত্রকের তত্ত্বাবধানেই দ্রুত দেশে ফেরানো হবে দেহ। সূত্রের খবর, মৃত ৪০ জনের মধ্যে তামিলনাড়ু, কেরলের বাসিন্দার সংখ্যা বেশি। এছাড়াও বেশ কয়েকজন উত্তরভারত ও বাংলার বাসিন্দা। তবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় অনেককেই চেনা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে তাঁদের নাম, পরিচয় জানা যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: খুলল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ৪ দরজাই, ক্ষমতায় এসেই বড় সিদ্ধান্ত বিজেপির]
উল্লেখ্য, বাংলা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কুয়েতে পাড়ি দেন। দক্ষিণ কুয়েতের মানগাফ শহরের 'অভিশপ্ত' ছতলা বাড়িটিতে এমনই ১৯৫ জন নির্মাণ শ্রমিক থাকতেন। বুধবার বাড়ির নিচতলার রান্নাঘরে আগুন ধরে যায় বলে সূত্রের দাবি। দ্রত গতিতে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই প্রাণ যায় ৪৯ জনের। তাঁদের মধ্যে ৪০ জনই ভারতীয়। কেরল, তামিলনাড়ুর পাশাপাশি বাংলারও কয়েকজন আছেন বলে খবর। ইতিমধ্যে স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন তিনি। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত।