চন্দ্রজিত মজুমদার, খড়দহ: তেহট্টের করোনা আক্রান্ত পরিবারের সংস্পর্শে ছিলেন মুর্শিদাবাদের এক যুবক। আক্রান্তদের পরিচয় জানার পরই লুকিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ওই যুবক। খোঁজ পেতেই তাঁকে হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিল পুলিশ। সংক্রমণের আশঙ্কায় কাঁটা এলাকার বাসিন্দারা।
কয়েকদিন আগেই তেহট্টের এক পরিবারের ৩ শিশু-সহ ৫ জনের শরীরে মিলেছে করোনার জীবাণু। এরপর তাঁদের গতিবিধি প্রকাশ্যে আসতেই জানা যায় নিউ দিল্লি থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে শিয়ালদহ, সেখান থেকে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে তেহট্ট এরপর অটোতে বাড়ি গিয়েছিলেন তাঁরা। এলাকার একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন এমনকী স্বাভাবিকভাবেই মেশেন প্রতিবেশীদের সঙ্গেও। এরপরই আক্রান্তদের পরিজন ও প্রতিবেশীদের উপরও নজরদারি শুরু হয়। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত ওই পরিবারের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের এক যুবক। কয়েকদিন সেখানে ছিলেন। ফলত আক্রান্তদের সঙ্গে মেলামেশাও করেছেন। আক্রান্তদের পরিচয় জানার পর কোনও ক্রমে লুকিয়ে মুর্শিদাবাদ ফেরেন ওই যুবক। তাঁর আগে শক্তিপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তারের পরামর্শও নেন।
[আরও পড়ুন: কোথায় হবে রাজ্যের দ্বিতীয় মৃতার শেষকৃত্য? চিন্তায় প্রশাসন]
কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় রবিবার বিকেলে। লুকিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে সাইকেল আনতে গেলে তাঁকে দেখে ফেলেন স্থানীয়রা। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পৌঁছয় ভরতপুর থানার পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে। গভীর রাতে ভরতপুর থানার পুলিশ হাজির হয় ওই যুবকের বাড়িতে। আপাতত যুবককে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষাও করা হবে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, শুধু এই যুবক নন, তেহট্টের করোনা আক্রান্ত পরিবারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে আরও বহু মানুষ সংক্রমিত হবেন বলেই আশঙ্কা সব মহলের।
[আরও পড়ুন: জ্বর নিয়েই ট্রেন যাত্রা, অফিস! শেওড়াফুলির করোনা আক্রান্তের গতিবিধিও বাড়াচ্ছে আতঙ্ক]
The post তেহট্টর রোগী থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা, মুর্শিদাবাদের যুবককে হোমে আইসোলেশনে পাঠাল পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.
