শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক। শনিবার রাতে অন্যতম মূলচক্রী জিয়াউল শেখকে চোপড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত জিয়াউল সামশেরগঞ্জ থানা এলাকারই বাসিন্দা। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪। আগেই এই খুনে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিয়াউল সামশেরগঞ্জের সুলিতলা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ঘটনায় আগে গ্রেপ্তার হওয়া তিন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিয়াউলের নাম জানতে পুলিশ পারে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জিয়াউলকে গ্রেপ্তার করেছে বিশেষ তদন্তকারী দলের অফিসাররা। তাকে রবিবার জঙ্গিপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে। আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদে। অশান্তির মাঝেই জাফরাবাদে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। প্রথমে সুতি ও বীরভূমের মুরারই থেকে কালু নাদাব ও দিলদার নাদাবকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা।তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সুতি থেকেই ইনজামুল নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে আদলত। ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল সিট।
