অর্ক দে, বর্ধমান: ট্যাব দুর্নীতিতে তোলপাড় বাংলা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তে নেমে মালদহ থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান জেলা পুলিশ। ট্যাব দুর্নীতিতে সোমবার রাতে ওই যুবককে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফলে মোট ধৃত বেড়ে ৪।
ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। অভিযোগ ওঠে, বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে সিএমএস হাই স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়ার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্যত্র চলে গিয়েছে। এই বিষয়ে স্কুলের তরফে বর্ধমান সাইবার থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু হয়। সেখানে দেখা যায় স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে ভিন রাজ্যের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার শাখার পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়। এর পর অন্যান্য জেলা থেকেও এক অভিযোগ ওঠে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নজরে পড়ে বিষয়টি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দ্রুত দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেন। এর পরই রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে নতুন করে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার মালদহ থেকে ট্যাব দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান জেলা পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম হাসেন আলি। মালদহের বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা তিনি। কম্পিউটারে ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন ধৃত। এই যুবককে জেরা করলেই চক্রের মাথাদের হদিশ মিলবে বলে আশাবাদী পুলিশ। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ৩ জনকে।