বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: লকডাউনে (Lockdown) কোপ ভগবানের ঘরেও। আগেই নগদের অভাবে বেতন দিয়ে সমস্যায় পড়েছে দেশের বহু বড়-বড় ধর্মস্থান। কাজ হারিয়েছেন বহু কর্মী। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল নদিয়ার মায়াপুর ইসকন (ISCON) মন্দিরের নাম। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দেড় হাজার কর্মী কাজ হারিয়েছেন। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, মহামারীর সময় প্রচুর ত্রাণের কাজ চলছে। জলের মতো খরচ হচ্ছে। ওই কর্মীদেরও যথাসম্ভব আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে।
মন্দির চত্বরের প্রধান গেট এখনও না খোলায় দেখা নেই পর্যটকদের। তাই বন্ধ আয়। ফলে কাজ হারিয়েছেন নদিয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দির চত্বরে কর্মরত প্রায় দেড় হাজার কর্মী। আপাতত খুব কম সংখ্যক লোকজনের মাধ্যমে মন্দির চত্বরের জরুরি কাজ চালানো হচ্ছে। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, সংকটের মধ্যেও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। লকডাউনের শুরু থেকেই মন্দিরের বাইরের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মধ্যে প্রতিদিন খিচুড়ি বিলি করা হচ্ছে। মন্দিরের আবাসিক হিসাবে রয়েছেন প্রচুর ভক্ত। কাজে এবং পড়াশোনার জন্য এসে আটকে গিয়েছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই প্রচুর খরচ হয়েছে। মন্দিরের পুজো-অর্চনা ও অন্যান্য নিত্যখরচও নেহাত কম নয়।
[আরও পড়ুন : জমি বিতর্কে বিশ্বভারতী, উপাচার্যের বাংলো-সহ একাধিক প্লটের রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন]
এবার রথযাত্রাও মন্দির চত্বরের মধ্যে খুবই ছোট করে হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রার তিনটি রথের দড়ি টানবেন মাত্র কুড়িজন করে ভক্ত। কীর্তন ও পুজার্চনার জন্য থাকবেন মাত্র পাঁচজন করে। মন্দিরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (PRO) রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানিয়েছেন, “কাজ হারানো ওই কর্মীদের প্রায় সকলকেই কমবেশি কিছু আর্থিক অনুদান ও ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। ত্রাণের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। দেশে এবং বিদেশের ভক্তদের কাছে ইতিমধ্যেই অনলাইনে সাহায্যের আবেদন করা হয়েছে। অনেকেই আর্থিক সাহায্য পাঠাচ্ছেন।”
[আরও পড়ুন : করোনায় মৃত সন্দেহে শ্মশানে দাহকাজে বাধা স্থানীয়দের, মাঝরাতে তুমুল উত্তেজনা ভাটপাড়ায়]
The post ঈশ্বরের ঘরেও লকডাউনের কোপ! মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে কর্মী ছাঁটাই appeared first on Sangbad Pratidin.