সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: অন্ডাল বিমানবন্দরে অমিত শাহকে বিদায় জানানো বিজেপি নেতাদের তালিকায় 'কয়লা মাফিয়া'র নাম নিয়ে রাজনৈতিক তরজা আরও তুঙ্গে। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে এবার নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল। এনিয়ে রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতা জিতেন চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট অভিযোগ করলেন, 'কয়লা মাফিয়া' নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগে তাঁর সম্মানহানি ঘটছে। এর জন্য মন্ত্রী তথা তৃণমূল মুখপাত্র শশী পাঁজাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন জিতেন চট্টোপাধ্যায়। ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
গত ১০ তারিখ বঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের (2024 Lok Sabha Election) প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। তিনটি জনসভা করে অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে তিনি দিল্লি ফিরে যান। সেখানে শাহর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। সেখানে দেখা যায়, অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন জয়দেব খাঁ, লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তাঁদের দুজনকেই 'কয়লা মাফিয়া' বলে চিহ্নিত করে তৃণমূল সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) তোপ দেগেছে। কলকাতায় রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের মুখপাত্র শশী পাঁজা বলেন, ''ওই তালিকায় থাকা জয়দেব খাঁ ও লক্ষ্মণ ঘোড়ুই প্রতিষ্ঠিত কয়লা মাফিয়া।''
[আরও পড়ুন: রাজভবনে শ্লীলতাহানি ইস্যু: ফুটেজ দেখে চিহ্নিত, আরও ৪ কর্মীকে নোটিস পাঠিয়ে তলব লালবাজারে]
আর তৃণমূলের এই বক্তব্যে আপত্তি জানিয়েই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। পূর্ব বর্ধমান জেলা মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জিতেন চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, "দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তিনি কী করে প্রতিষ্ঠিত কয়লা মাফিয়া হলেন? ওই তালিকায় থাকা সবাইকেই কয়লা মাফিয়া বলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র। যা অন্যায়।" তিনি আরও বলেন, "আমি সম্ভ্রান্ত বংশের সন্তান। আমি সরকারি ঠিকাদারি করি। আমার পরিবার রয়েছে। এই মিথ্যা রাজনৈতিক বিবৃতির ফলে আমার পারিবারিক গরিমা নষ্ট হয়েছে। আমার নিরাপত্তা নিয়েও আমি চিন্তিত।" এনিয়ে রবিবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে হুঁশিয়ারি, রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র এই নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করবেন তিনি।
