চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: ১৬ বছর আগের একটি অপহরণ মামলায় তিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের ও জরিমানার আদেশ দিলেন বিচারক। বুধবার কান্দি আদালতের বিচারক এই সাজা ঘোষণা করেন। আদালতের সরকারি আইনজীবী এ কে এম সালাউদ্দিন সিরাজ জানিয়েছেন, “পিতার প্রেমিকাকে অপহরণ করার ঘটনায় তিন ছেলেকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সাজা দিল কান্দি মহকুমা আদালত। বুধবার কান্দি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদলতের বিচারক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় এই রায় দিলেন। বুধবার বিচারক তিনজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
[অন্য রূপের গাছ, দৈবজ্ঞানে পূজার ছলে প্রকৃতির আরাধনা কেতুগ্রামে]
দণ্ডিতরা হল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার উত্তর গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা পারভেজ আহমেদ, জিয়াউল হক, সফি আহমেদ। তাদের বাবা আবদুল আজিজ কান্দি সহিসপাড়ার এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ।
সেই ঘটনার জেরে আবদুল আজিজের তিন পুত্র মিলে ২০০২ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি অপহরণ করে ওই মহিলাকে। ঘটনার জেরে অপহরণের অভিযোগ করা হয়। আদালতের সরকারি আইনজীবী এ কে এম সালাউদ্দিন সিরাজ আরও জানিয়েছেন, “ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পারভেজ আহমেদ, জিয়াউল হক, সফি আহমেদ গ্রেপ্তার করে এবং বাবা আবদুল আজিজ-সহ বেশ কয়েকজনের বয়ানের ভিত্তিতে তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারপতি। নিজের বাবার প্রেমিকাকে অপহরণ করার ঘটনায় আজ সাজা দেন।”
এহেন বেনজির ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। দোষী সাব্যস্তদের দাবি, বাবার অবৈধ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি তারা। বাবার এহেন কাজে এলাকায় তাদের মানসন্মান সমস্ত হারিয়ে গিয়েছে। রাস্তায় মাথা তুলে হাঁটতে পারতেন না তারা। তাই রাগের মাথায় এই কাণ্ড ঘটায় তারা। আপাতত বাবা আবদুল আজিজের সঙ্গেই রয়েছেন নির্যাতিতা মহিলা।
[মুখচোরা ছেলে সুস্থ আছে, এতেই বিশ্বজয়ের তৃপ্তি সত্যরূপের পরিবারের]
The post বাবার ‘প্রেমিকা’কে অপহরণ, তিন ছেলের সাত বছরের কারাদণ্ড appeared first on Sangbad Pratidin.
