সুমন করাতি, হুগলি: তৃণমূল নেতাকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জামিনে মুক্ত হয়ে এক যোগা শিক্ষক-সহ তিন যুবককে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসের বিরুদ্ধে। যোগা শিক্ষককে ইট-পাথর দিয়ে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাঁকে ফের গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর রাতে বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন যোগা শিক্ষক জ্যোতিষ্ক বাইন-সহ তিন যুবক। অভিযোগ আচমকা মদ্যপ অবস্থায় তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় দাস ইট, পাথর নিয়ে হামলা চালায়। মাথা ফেটে যায় জ্যোতিষ্কের। মুখে আঘাত লাগে বাকিদের। গোটা ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। থানায় অভিযোগ জানান তিনি। ঘটনার তদন্তে নামে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। এরপরই পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগেই খুনের অভিযোগ রয়েছে। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।জ্যোতিষ্কের আইনজীবী শুভদীপ নাথ বলেন, "উত্তরপাড়ার মতো শান্তিপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের অপরাধী রাতের অন্ধকারে জ্যোতিষ্ক-সহ তাঁর বন্ধুদের উপর যেভাবে নৃশংস আক্রমণ চালিয়েছে তাতে আমরা আতঙ্কিত। কী কারণে আক্রমণ তা পুলিশ খতিয়ে দেখুক।"
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৪ জুন নিমতায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডুকে। তিনি নিমতা অঞ্চলের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েকজন দুষ্কৃতীর সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় হিন্দমোটরের বাসিন্দা সঞ্জয় দাসকে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তবে কিছুদিন আগেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তারপরই যোগা শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
