দেবব্রত দাস, খাতরা: বাড়িতে পাঁচ বছরের ছোট্ট ছেলে অসুস্থ। তার জন্য রাতে ওষুধ আনতে বেরিয়েছিলেন উদ্বিগ্ন বাবা। নদী পেরনোর জন্য ভরসা একমাত্র বাঁশের সাঁকো। রাতের অন্ধকারে বাইক নিয়ে সেই সাঁকো পেরনোর সময়ই ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাইকসমেত সাঁকো থেকে ৩৫ ফুট নদীতে পড়ে মৃত্যু হল ব্যক্তির। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাসের ভগবতীপুর এলাকায়। মৃতের নাম সঞ্জয় ঘোষ। দুঃসংবাদ পৌঁছতেই কান্নার রোল উঠেছে বাড়িতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবতীপুর এলাকায় বাড়ি বছর ৩৪ বয়সী সঞ্জয় ঘোষের। ওই যুবকের সন্তান অসুস্থ থাকায় গতকাল, শুক্রবার রাতে তিনি ওষুধ আনতে বেরিয়েছিলেন বলে খবর। রসুলপুর বাজারের দোকান থেকে ওষুধ আনতে হবে। রসুলপুর যেতে হলে পেরতে হয় শালী নদী। আর সেই নদী পেরতে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো বাইক নিয়ে পেরনোর সময়ই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বাইকের চাকা পিছলে যায়। সাঁকোর উপর থেকে বাইকসমেত ওই ব্যক্তি নিচে পড়ে যায়। শীতের সময় ওই নদীতে জল কম থাকে। সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইক। নিজস্ব চিত্র
দুর্ঘটনার খবর শুনে দ্রুত নদীর পাড়ে যায় এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ইন্দাস থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গাড়ির চাকা পিছলেই কি এই ঘটনা? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার পর ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সাধারণ বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী সেতুর দাবি জানালেও তা এখনও হয়নি! মাটি পরীক্ষা হলেও সেতু কবে তৈরি হবে? সেই সম্পর্কে কোনও খোঁজখবর নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকো পেরতে হয় বলে দাবি স্থানীয়দের।
