সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদিবাসী কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুরে। পুলিশ তদন্তে নেমে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। আর কারা ঘটনায় জড়িয়ে? সেই বিষয়েও খোঁজখবর করছেন তদন্তকারীরা। আজ, মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে। ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে বলে খবর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মল্লারপুর এলাকায় একটি মেলা বসেছে। গতকাল, সোমবার রাতে এক আত্মীয়ের সঙ্গে ওই নাবালিকা ওই মেলায় বেড়াতে গিয়েছিল। ফেরার সময় কয়েক জন যুবক তাঁদের পথ আটকায় বলে অভিযোগ। ওই কিশোরীকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার পাশের জঙ্গলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই আত্মীয় ছুটে স্থানীয়দের খবর দিতে যান। অভিযোগ, জঙ্গলের মধ্যেই ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। জঙ্গলের মধ্যেই নাবালিকাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
রাতেই স্থানীয়রা ওই জঙ্গলের ভিতর তল্লাশি শুরু করেন। কিছু সময় পরে উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। মল্লারপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। নাবালিকার বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়। রাত থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। জঙ্গল ও আশপাশের এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ছ'জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। নাবালিকার পরিবার অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে।
আজ, মঙ্গলবার ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। এদিন সকাল থেকেই আদালত চত্বরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন বিক্ষোভ জানান। অভিযুক্তদের গাড়ি থেকে নামিয়ে আদালতের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার সময় মারধর করার চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। আর কারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
