জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাত পোহালেই বারুণী মেলা। মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধান এই মেলা ঘিরে এখন থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দল বেঁধে ঠাকুরনগরে যাচ্ছেন মতুয়ারা। এবারের মেলা জমে উঠবে সাত ফুটের বিশাল আকৃতির ডঙ্কার গনচুম্বী শব্দে। শব্দ শোনা যাচ্ছে বহুদূর থেকে। যা চওড়ায় যা ছ'ফুট। এমনই ডঙ্কা তৈরি করে সারা ফেলে দিয়েছেন ন'হাটার মতুয়া দলপতি গণপতি মণ্ডল।

বরুণা মেলায় মতুয়া ধর্মালম্বীদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পায় কাসর, ঘণ্টা, নিশান ও ডঙ্কা। ট্রেনে,বাসে সেই শব্দযন্ত্রগুলি বাজিয়ে ঠাকুরনগরের দিকে যান ভক্তরা। প্রায় প্রতিবছরই এই মেলায় যান নহাটা এলাকার গণপতি মণ্ডল ও তাঁর পরিবার। এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে তৈরি করেছেন বিশাল আকৃতির ডঙ্কা। এই ডঙ্কা বাজানোর জন্য যে লাঠি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটির ওজনও প্রায় আড়াই থেকে তিন কিলো। চারজন মিলে তা বাজাতে হবে। ইতিমধ্যেই ডঙ্কা দেখতে গণপতির বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশের এলাকার মানুষজন। কয়েক হাজার মানুষ এই ডঙ্কা নিয়েই রওনা হয়েছেন ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির উদ্দেশ্যে। প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে, ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছে সবচেয়ে বড় এই ডঙ্কায় উঠবে, 'হরি বোল ধ্বনি'।
কিন্তু এত বড় যন্ত্র কীভাবে নিয়ে যাওয়া হবে? জানা গিয়েছে, এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে যেতে বিশেষ চাকা লাগানো ট্রলিরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গণপতি মণ্ডল বলেন, "দীর্ঘ প্রায় ছয় মাসের উপর অপেক্ষার পর বিশেষ উপায়ে এই ডঙ্গা তৈরির পর এই ডঙ্কা তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে এতবড় ডঙ্কা আগে কেউ নিয়ে আসেনি। আমরাই প্রথম তৈরি করেছি।" এলাকাবাসী-সহ মতুয়া ভক্তরাও জানালেন এত বড় ডঙ্কা আগে কেউ কখনও দেখেননি।