সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: মদ্যপ বাবার হাতে মারধরের ঘটনায় কন্যার পর প্রাণ গেল এক পুত্রসন্তানেরও। ঝাড়খণ্ডের রাঁচির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বাকি দুই সন্তান এখনও ভরতি হাসপাতালে। সদ্য সন্তানহারা মায়ের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গত শুক্রবার রাতে মদ খেয়ে বাড়িতে আসেন পুরুলিয়ার টামনা থানার ডিগশিলি গ্রামের বাসিন্দা প্রভাস মাহাতো। স্ত্রী তার প্রতিবাদ করেন। স্বামী-স্ত্রীর তুমুল ঝামেলা হয়। ওই ঝামেলায় স্ত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এরপরই মদ্যপ বাবার ক্ষোভ আছড়ে পড়ে তার ছেলে-মেয়ের উপর। চার সন্তানকে ওই গুণধর বাবা লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ। এমনকি মাটিতে ফেলেও আছাড় মারে। ওই রাতেই এলাকার মানুষজন-সহ পুলিশ ওই চার সন্তানকে দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করে।
[আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ঘর ছেড়েছিল বধূ,পরে উদ্ধার মৃতদেহ, তীব্র চাঞ্চল্য চাকদহে]
সাত বছরের বালিকা মধুমিতা মাহাতোকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি তিন সন্তানের শারীরিক অবস্থা অত্যান্ত আশঙ্কাজনক ছিল। তাদের রাঁচির হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক খুদের মৃত্যু হয়। মৃত শিশুর নাম জয়দেব মাহাতো (৩)। বাকি দুই সন্তান এখও চিকিৎসাধীন।
সন্তানদের উপর বাবার এই নৃশংস অত্যাচারে অবাক হয়ে গিয়েছেন পুলিশকর্মীরাও। তবে স্বামী-স্ত্রীর এই ঝামেলার মধ্যে শুধু মদ্যপান নিয়ে ঝামেলা নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে টামনা থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে এখনও পলাতক বাবা প্রভাস মাহাতো। খোঁজ নেই সন্তানহারা মায়েরও।
