অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। আবার তার উপর নিম্নচাপ। জোড়া ফলায় বিদ্ধ বাংলা। চলছে প্রবল বৃষ্টি (Heavy rain)। উত্তরবঙ্গেও জলছবি। টানা বর্ষণে পাহাড়ে নামল ধস। সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ চলার সময় বৃহস্পতিবার রাতে ধস নামে। তার জেরে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ২জন। ২৯ মাইলের কাছে দশ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের ফলে বিচ্ছিন্ন দার্জিলিং ও সিকিম। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ধস মেরামতির কাজ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ চলছিল। আচমকাই নামে ধস। ৫জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশির পর ধনসিং ভাণ্ডারি নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় ২জনকে উদ্ধার করা হয়। বাকি দু’জনের এখনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। আবার টানা বৃষ্টির প্রভাবে ২৯ মাইলের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গাতেও ধস (Landslide) নেমেছে। বাংলা এবং সিকিম সীমানার রংপো, মিল্লির ধস বেশ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দার্জিলিং থেকে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তাতেও নেমেছে ধস। দার্জিলিংয়ের সিংমারির নিচে সংটম এলাকাও ধসের কবলে। ফলে বেশ কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যানচলাচল ব্যাহত। সড়কপথে বিচ্ছিন্ন দার্জিলিং ও সিকিম (Sikkim)। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ধস মেরামতির কাজ। এই প্রথমবার অবশ্য নয়। এর আগেও একাধিকবার প্রবল বর্ষণের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কেও ধস নামে।
[আরও পড়ুন: Weather Update: নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা, কবে দেখা মিলবে রোদের?]
তবে এখনই বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই উত্তরবঙ্গবাসীর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টি ক্রমশই বাড়বে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এই দুই জেলায় বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গে রবিবার থেকে আবহাওয়া উন্নতির সম্ভাবনা। বাড়তে পারে তাপমাত্রাও। বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বাড়তে পারে। নামতে পারে ধস। ইতিমধ্যেই ধসপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের যাতে প্রাণহানি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।