শেখর চন্দ্র, আসানসোল: জামুড়িয়ায় (Jamuria) শুটআউট। খনি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি দুষ্কৃতীদের। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামুরিয়া থানার রানিগঞ্জের চাপুই কোলিয়ারি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
নিহত বছর চুয়ান্নর মদন বাউরি ইসিএলের চাপুই খাস কোলিয়ারির কর্মী। মঙ্গলবার সন্ধেয় জামুড়িয়ার দু’নম্বর জাতীয় সড়কের লাগোয়া চাপুই রোডে এক মাংস দোকানের সামনে বসেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে চড়ে বেশ কয়েকজন ওই এলাকায় আসে। কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা ছিল তাদের। কিছু বুঝে ওঠার আগে ওই ইসিএল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘অন্যের রান্নাঘরে যৌন মিলন করেছিলাম’, নুসরতের শোয়ে গোপন কথা ফাঁস ঋতাভরীর]
থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানিগঞ্জ থানা ও জামুরিয়া থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সেন্ট্রাল অভিষেক মোদিও। তবে ততক্ষণে ইসিএল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
এই ঘটনার তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউড়ি বলেন, “মুখ ঢেকে দুষ্কৃতীরা এলাকায় পৌঁছয়। মদন বাউড়িকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায়।” ওই দুষ্কৃতীদের কেউই চিনতে পারেনি। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি অন্য কিছু, কী কারণেই বা খুন করা হল খনিকর্মীকে সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে খনি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।