দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: করোনা সংক্রমণ রুখতে দ্বিতীয় দফাতেও বাড়ানো হল লকডাউন। তা সত্ত্বেও বিধিনিষেধ মানছেন না অনেকেই। বারবার পুলিশ এলাকায় হানা দিয়েও কাউকে কাউকে রুখতে পারছেন না। লকডাউন উপেক্ষাকারীদের বাড়ি যেতে বলেছিলেন এক বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি। তাই ছিল তাঁর ‘অপরাধ’। আর তার ফলে নিয়মভঙ্গকারীদের রোষের শিকার হলেন তিনি। ঝরল প্রতিবাদীর রক্তও। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার গোয়ালবাড়ি এলাকায়।
কয়েকদিন ধরে ওই এলাকার ৪০-৫০ জন যুবক বাড়ির পাশে একটি বাগানে জমায়েত হয়ে আড্ডা মারছিল। খেলাধুলা করত তাঁরা। তাঁরা কেউই মুখে মাস্ক পরতো না। কেউই সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখত না। পাড়ার ওই যুবকদের করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতন করতে যান আবদুল্লা মোল্লা। অভিযোগ, ওই যুবকরা তাঁর কথা না শুনে টিপ্পনী কাটত। ওই ব্যক্তি পাড়ায় জমায়েত বন্ধ করতে থানায় ফোন করে পুলিশেও খবর দেন। সেই মতো পুলিশ বারকয়েক গ্রামে ঘুরে যায়। এরপরই হাসিবুর রহমান নামে এক যুবক আবদুল্লাকে ফোন করে ডাকে একটি কাজের জন্য। সেই মতো তিনি যান। তবে তাঁকে কয়েকজন যুবক মিলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁর মাথাও ফেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে জীরেনগাছা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁর মাথায় দুটি সেলাই পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: দূরত্ব বজায় রেখেও হবে না হালখাতা? পয়লা বৈশাখের আগে মনখারাপ গৃহবন্দি বাঙালির]
আবদুল্লা মোল্লা বলেন, “লকডাউন উপেক্ষা করে পাড়ার কিছু যুবক প্রতিদিন এক জায়গায় জড়ো হয়ে আড্ডা মারতো। করোনা ভাইরাস নিয়ে তাদের সচেতন করে আমি প্রতিবাদ করি। সেই কারণে ওরা আমাকে অন্যায়ভাবে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।” আক্রান্তের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় শামিল হুগলির খুদে, ত্রাণ তহবিলে দিল জমানো টাকা]
The post লকডাউনের নিয়ম ভাঙার প্রতিবাদ, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিবাদী যুবককে বেধড়ক মার appeared first on Sangbad Pratidin.
