সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নৃশংস অত্যাচারের শিকার এক কুকুরছানা। তার সামনের দিকের একটি পা ব্লেড চালিয়ে কেটে নেওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই সারমেয়টিকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তার অস্ত্রোপচারও করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, আজীবন প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েই বাঁচতে হবে ওই কুকুরছানাটিকে। বীরভূমের সিউড়ির এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা।
দিনকয়েক আগে কুকুরছানাটি জন্মায়। সবে হাঁটতে শিখেছে সে। সিউড়ির স্থানীয় কয়েকজন মানুষ আচমকাই দেখেন সামনের একটি পা কাটা অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে কাতরাচ্ছে কুকুরছানাটি। তার সামনের দিকে একটি পা নেই। আর ওই ক্ষতস্থান থেকে হু হু করে রক্ত বেরিয়ে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি লোকমুখে একথা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান পশুপ্রেমীরা। কুকুরছানাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। পশু চিকিৎসকরা তার অস্ত্রোপচার করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্ষতস্থান আদৌ কতদিন পুরোপুরি সেরে উঠবে, তা বলা খুবই কঠিন। তবে আজীবন একটি পা ছাড়াই তাকে বাঁচতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কোনও মদ্যপ কুকুরটির পা কেটে নিয়েছে। পশুপ্রেমীরা এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কুকুরের উপর নির্মম অত্যাচারের পরেও কেনও নীরব পুলিশ আধিকারিকরা, ইতিমধ্যে সেই প্রশ্নও তুলেছেন পশুপ্রেমীরা।
[আরও পড়ুন: পাঞ্চেত ড্যাম উদ্বোধনে নেহরুকে মালা পরানোর ‘অপরাধ’, সাঁওতাল সমাজে আজও ব্রাত্য বুধনি]
এর আগে বুধবার সামনে আসে আরও এক নির্মম ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করিয়ে একসঙ্গে ছ’টি কুকুরকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগকারীর দাবি, নেতাজিনগরের একটি বাজারে টিনের ঘরের ভিতর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ওই কুকুরগুলিকে। অভিযোগের তীর ওই বাজারেরই এক মহিলা ব্যবসায়ী-সহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে। নেতাজিনগর এলাকার পশুপ্রেমী ওই মহিলা ব্যবসায়ী-সহ বাকি চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নেতাজিনগর থানায়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সিউড়িতে নির্মম অত্যাচারের সাক্ষী এক সারমেয়। সমাজ এগোলেও কেন এত নিষ্ঠুর হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ। বারবার এই প্রশ্নই কানে বাজছে পশুপ্রেমীদের।
The post নৃশংস! মদ্যপের ব্লেডের ঘায়ে বাদ গেল কুকুরছানার পা appeared first on Sangbad Pratidin.
