অর্ণব দাস, বারাকপুর: পারবারিক অশান্তির জের। গৃহবধূর মুখে জোর করে ফিনাইল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ননদ-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়দহ থানার পানিহাটির (Panihati) নিউ কলোনি এলাকায়। অসুস্থ গৃহবধূ রত্না দত্ত কামারহাটির সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গৃহবধূর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বারো বছর আগে পানিহাটির নিউ কলোনি এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা দত্তের সঙ্গে বিয়ে হয় রত্নার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই রত্নাদেবীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা নানা কারণে অশান্তি করত। বছর দুয়েক আগে লকডাউনের সময় রত্নার স্বামী কাজ হারান। অভিযোগ, এরপর থেকে গৃহবধূর ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। মঙ্গলবার অত্যাচার চরম আকার নেয়। তুমুল অশান্তির মাঝেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বধূর মুখে ফিনাইল ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ। আর্তনাদ করেন মহিলা। এরপরই অসুস্থ অবস্থায় রত্নাদেবীকে কামারহাটির সাগরদত্ত হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ইতিমধ্যেই গৃহবধূর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
[আরও পড়ুুন: কলেজ স্ট্রিটের আদলে এবার দার্জিলিংয়েও কফি হাউস, পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর]
এদিন হাসপাতালের বেডে শুয়ে রত্নাদেবী বলেন, “মঙ্গলবার ননদ এবং তার মেয়ে বাড়িতে আসে। আমার স্বামী ছাদে ছিল। আমি ঘর পরিষ্কার করছিলাম। স্বামীর রোজগার নেই বলে ননদকে একটি চাকরি ব্যবস্থা করার কথা বলেছিলাম। এটাই ছিল আমার অপরাধ। তখন আমচকাই ননদ এবং তার মেয়ে আমাকে মারধর শুরু করে। এরপর জোর করে আমার মুখের মধ্যে ফিনাইল ঢেলে দেয়। শ্বশুর ও শাশুড়ি পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ কিছু করেনি। আমি চিৎকার করতেই স্বামী ছাদে থেকে ছুটে আসে।”
রত্নাদেবীর দিদি চৈতলি ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকে বোনের উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। ওরা অকথ্য অত্যাচার করে বোনকে মেরে ফেলতে চাইছে। আমরা এই ঘটনার সুবিচার চাই।” যদিও, অত্যাচারের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যরা।