জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ চিকিৎসকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা (Bagda) ব্লকের হেলেঞ্চায়। কেন এই খুন? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রত্নতমা দে। উত্তর ২৪ পরগনার নীলগঞ্জের বাসিন্দা তিনি। দু বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডবঘটার বাসিন্দা অরিন্দম বালার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। পেশায় চিকিৎসক অরিন্দম। এসএসকেএমে এম.ডি করছেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের পর থেকেই বনিবনা ছিল না অরিন্দম ও রত্নতমার মধ্যে। অশান্তি লেগেই থাকত। একপর্যায়ে বাপের বাড়িতে চলে যান বধূ।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু: ‘ছেলে জড়িত হলে কড়া শাস্তি হোক’, বলছেন ধৃত জয়দীপের বাবা]
শনিবার রাতে অরিন্দম বালা তাঁর স্ত্রী রত্নতমাকে নিয়ে বাড়িতে ফেরে। অরিন্দমের ভাই ও বাবাকে খেতে বলে তাঁরা দোতলায় চলে যায়। তারপর পরিবারের সদস্যরা আর কিছু টের পাননি। রবিবার সকালে অরিন্দম দোতলা থেকে নেমে বাবা এবং ভাইয়ের কাছে জানায় সে তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছে। নিজেই বাগদা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনাস্থলে যান বাগদা থানার ওসি এবং পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে খুনের মামলার রুজু করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে বাগদা থানার পুলিশ। অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে রত্নতমাকে।