shono
Advertisement

নেশার টাকা দিতে আপত্তি, মাকে খুনের পর ডোবায় দেহ ফেলল ছেলে

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় মাকে খুনের কথা স্বীকার করে ধৃত।
Posted: 09:00 AM Nov 11, 2021Updated: 09:00 AM Nov 11, 2021

গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: মাদক কেনার জন্য মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিল ছেলে। কিন্তু নেশার জন্য টাকা না পাওয়ায় ছেলের হাতে খুন হতে হল মাকে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটে। খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ছেলে ঈশ্বর বরকে গ্রেপ্তার করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বসিরহাট (Basirhat) আদালতে তোলা হবে।

Advertisement

গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন শিবানী বর নামে ওই মহিলা। তাঁর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা শিবানী বরকে খুঁজে না পেয়ে নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার বাড়ির কাছে একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয় শিবানী বরের মৃতদেহ। ঘটনায় ছেলেকেই সন্দেহ করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর বুধবার রাতে ন্যাজাটের জেটি ঘাট থেকে বছর আঠাশের ঈশ্বর বরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর,  জেরায় মাকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে। 

[আরও পড়ুন: এই না হলে ভাগ্য! স্বামীর দোকান থেকে লটারি কিনে রাতারাতি কোটিপতি মালবাজারের বধূ]

ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বছরখানেক আগে ধৃতের বাবার মৃত্যু হয়। তারপর থেকে মা শিবানী বরের সঙ্গে কালীনগরের গজলিয়া গ্রামে থাকত ধৃত ঈশ্বর বর। মায়ের পাওয়া বিভিন্ন সরকারি ভাতায় কোনক্রমে চলত সংসার। ছেলে মাঝে মধ্যে দিনমজুরের কাজ করত। তবে যা আয় করত তা উড়িয়ে দিত নেশার খাতে। এ নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।

দু’দিন আগে নেশা নিয়েই সাংসারিক অশান্তি চরমে ওঠে। ফের নেশার জন্য মায়ের থেকে টাকাও চায় ঈশ্বর। টাকা দিতে অস্বীকার করেন শিবানী। তাতেই ছেলের সঙ্গে মায়ের বিবাদ বাঁধে। রাগের বশে এরপর মাকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ডোবায় ফেলে দেয়। সকলকে জানায় মা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। পরিজন এবং পুলিশের তৎপরতায় শেষমেশ ডোবা থেকে উদ্ধার হয় দেহ। পুলিশের জালে ধরা পড়ে ঈশ্বর। ধৃতের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তাঁর পরিজনেরা।

[আরও পড়ুন: হার্দিক পাণ্ডিয়ার জন্য জাতীয় দলের রাস্তা আপাতত বন্ধ! ভেঙ্কটেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ দেখছেন নির্বাচকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement