shono
Advertisement

অভিষেকের এক ফোনেই ১৫০ বছরের সমস্যার সমাধান! জমির পাট্টা পেলেন এনিকেটের বাসিন্দারা

সেচমন্ত্রীকে ফোন করে সমাধানের কথা বলার ১৩ দিনের মধ্যেই মিলল পাট্টা।
Posted: 05:47 PM Feb 18, 2023Updated: 05:58 PM Feb 18, 2023

অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ১৫০ বছর ধরে যে সমস্যার মোটেই সুরাহা হচ্ছিল না, তা স্রেফ এক ফোনেই মিটে গেল। তাও মাত্র ১৩ দিনে। জমির পাট্টা পেলেন খড়গপুরের (Kharagpur) এনিকেট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। আসলে ফোনটি করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ফেব্রুয়ারির গোড়ায় কেশপুরে সভা করতে গিয়ে মাঝপথে নেমে গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের জমির পাট্টা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেখান থেকেই তিনি সেচমন্ত্রীকে ফোন করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। আর সেই ফোনেই প্রায় ম্যাজিকের মতো কাজ হল।

Advertisement

গত ৪ ফেব্রুয়ারি কেশপুরের আনন্দপুরে সভা করতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের (TMC)সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেমে গিয়েছিলেন কংসাবতী নদীর তীরে শতাব্দী প্রাচীন এই জনপদে। সেখানে পৌঁছানোর পর গ্ৰামবাসীরা তাঁকে জানান, পাট্টা পাচ্ছেন না অনেকদিন ধরে। সেকথা শুনে অভিষেক সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmick) ফোন করে অনুরোধ জানান, এই গ্ৰামের পরিবারগুলিকে পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। কারণ, এই এলাকার জমি সেচদপ্তরের অধীনে। তাই সেচমন্ত্রীরই দায়িত্ব পাট্টার ব্যবস্থা করা।

[আরও পড়ুন: তুরস্কের ভূমিকম্পে রক্ষা পাননি, অবশেষে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার ফুটবলার আতসুর দেহ]

অভিষেক ফিরে যাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই খড়গপুরের কাছে মাতকাতপুর গ্রামে পাট্টা দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়। খড়গপুর গ্ৰামীণ থানার বড়কোলা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের কংসাবতী নদীর তীরে মাতকাতপুর গ্ৰামের পরিবারগুলিকে পাট্টা দেওয়ার জন্য প্রথম ধাপের কাজ শুরু করল জেলা প্রশাসন। ছুটির দিন হলেও সকালেই গ্ৰামে পৌঁছে যান খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবদত্ত চক্রবর্তী। তিনি সেখানে গিয়ে গ্ৰামের পরিবারগুলির কাছ থেকে পাট্টার জন্য আবেদনপত্র (Application) সংগ্রহ করেন। দ্রুত পাট্টা পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন বিডিও (BDO)।

[আরও পড়ুন: ‘সোরস একগুঁয়ে, বিপজ্জনক ব্যক্তি’, আদানি ইস্যুতে মার্কিন ধনকুবেরকে বিঁধলেন জয়শংকর]

শনিবার সেই মোহনপুর মতকাতপুরের মানুষজন জমির পাট্টা পেলেন। ওইদিন বিডিও অফিসে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাট্টা প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদরি, জেলাপরিষদের সহ সভাধিপতি তথা বিধায়ক অজিত মাইতি, বিধায়ক জুন মালিয়ারা। আর পাট্টা পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ১৫০ বছরের সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার