সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গ্রিন করিডরের মধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এর জেরে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হলেন দুজন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গ্রিন করিডর নিয়ন্ত্রণে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে নাইলনের দড়ি টেনেছিল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। নাইলনের দড়ির বন্দোবস্ত হলেও জাতীয় সড়কের সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনও আলো ছিল না। সেই সময় বাইক নিয়ে গ্রিন করিডরে ঢুকে পড়েন জয়নাল মণ্ডল ও রফিক মিদ্দা। নাইলনের দড়িতে জয়নালবাবুর গলা কেটে যায়। রফিক মিদ্দারও আঘাত লাগে। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পানাগড়ের কাছে সোয়াই গ্রামের সঙ্গে জিটি রোড সংযোগকারী রাস্তায়।
[জনসভা থেকে ফেরার পথে হামলা, বরাতজোরে রক্ষা দিলীপের]
জানা গিয়েছে, জয়নাল মণ্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নাইলনের দড়িতে তাঁর গলা প্রায় পুরোই কেটে গিয়েছে। দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালেই ভরতি রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আহত রফিকুল মিদ্দাকে ভরতি করা হয়েছে জাতীয় সড়ক লাগোয়া রাজবাঁধের এক বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁদের দুজনেরই বাড়ি আউশগ্রাম-এক নম্বরের কৌচা এলাকায়। এদিক এই দুর্ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মিশন হাসপাতাল থেকে অঙ্গ নিয়ে এসএসকেএমে যাওয়ার জন্য ১৭০ কিলোমিটার রাস্তা গ্রিন করিডরের বন্দোবস্ত হয়েছিল। এই গ্রিন করিডরের দায়িত্বে রয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের সংশ্লিষ্ট এলাকায় কমিশনারেটের তরফে গ্রিন করিডর নিয়্ন্ত্রণের জন্য ১০০ জন পুলিশেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তারপরেও কী করে দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, দুর্ঘটনাস্থলে কোনও আলো দূরে থাক, পুলিশকর্মীই ছিল না। এনিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবার দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে এক কিশোরীর ব্রেন ডেথের পর তার অঙ্গদানের বন্দোবস্ত হয়। সেই অঙ্গ নিয়েই অ্যাম্বুল্যান্স আসছিল কলকাতায়। গোটা পথ নির্বিঘ্নে আসার জন্য গ্রিন করিডরের বন্দোবস্তও হয়। সেই গ্রিন করিডরের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করতে মেলায় গিয়ে মালাবদল! ব্যাপারটা কী?]
The post পানাগড়ে জাতীয় সড়কে ‘গ্রিন করিডর’-এ দুর্ঘটনা, গুরুতর আহত ২ appeared first on Sangbad Pratidin.
