সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিন আগেই জানা গিয়েছিল ভারতীয় টেস্ট দলের কোচের পদে গৌতম গম্ভীর নিরাপদ নন। তাঁর পরিবর্ত খোঁজা শুরু হয়েছে। এমনকী কোচের পদে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু একদিন বাদেই বিসিসিআই সূত্র অন্য কথা বলছে। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, এসব জল্পনায় সারবত্ত্বা নেই। ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত হটসিটে থাকবেন গম্ভীরই।
সাদা বলের ক্রিকেটে একটি আইসিসি ট্রফি একটি এশিয়া কাপ ট্রফি জিতলেও টেস্ট ক্রিকেটে কোচ হিসাবে ‘চূড়ান্ত ব্যর্থ’ গৌতম গম্ভীর। তাঁর আমলে এ পর্যন্ত ১৮টি টেস্ট খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। এর মধ্যে সাতটিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে। ঘরের মাঠে ৯টি টেস্ট খেলে ৫টিতেই কুপোকাত হয়েছেন যশস্বী জয়সওয়ালরা। চলতি WTC সাইকেলে এখনও পর্যন্ত ৯টি টেস্ট খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। এর মধ্যে ৪ টেস্টে জয় পেলেও চারটিতে হেরে গিয়েছেন শুভমান গিলরা। একটি ম্যাচ ড্র করেছে ভারত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের ভাবাচ্ছে কোচ গৌতম গম্ভীরের লজ্জার রেকর্ড।
শনিবার সংবাদসংস্থা পিটিআই দাবি করে, সবদিক বিবেচনা করে গম্ভীরকে টেস্ট দলের হেডকোচ পদ থেকে সরানোর কথা ভেবেছিল বিসিসিআই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হারের পর গম্ভীরের বদলে এনসিএ প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণকে টেস্টের কোচ করার কথা ভাবা হয়েছিল। এমনকী বেসরকারিভাবে লক্ষ্মণের সঙ্গে কথা বলা হয়। যদিও তাতে রাজি হননি ভিভিএস। তিনি এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের গুরুদায়িত্ব নিতে নারাজ। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান পদেই সন্তুষ্ট।
কিন্তু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির দাবি, এই জল্পনা সত্যি নয়। বোর্ডের এক কর্তা তাঁদের জানিয়েছেন, ভিভিএসের সঙ্গে সরকারি বা বেসরকারি কোনওভাবেই কোচের পদে বসার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়নি। বোর্ডের ওই কর্তার কথায়, "বিসিসিআইয়ের গম্ভীরের উপর পূর্ণ আস্থা আছে। তাঁকে ছাঁটাই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর হটসিটে থাকা নিয়ে কোনও সংশয়ও নেই।" আসলে বোর্ডের প্রভাবশালী মহল এখনও তাঁকে কোচ রাখার পক্ষে। ব্যর্থতা সত্ত্বেও সেটাই গম্ভীরের জন্য প্লাস পয়েন্ট হয়ে যাচ্ছে।
