রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বস্তা বস্তা আলু বিক্রি করে উধাও হিমঘরের মালিক। বীজ বোনার সময় বন্ধ হিমঘর দেখে মাথায় হাত কৃষকদের। ক্ষতির আশঙ্কায় চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে।
শামুকতলা থানার চিকলিগুড়ির কৃষক মৃনাল দাস ১০০ প্যাকেট আলুর বীজ হিমঘরে রেখেছিলেন। আলুর বীজ বোনার সময় এলে হিমঘরে গিয়ে শোনেন মালিক উধাও। বন্ধ হিমঘর থেকে উধাও তাঁর আলুর বীজও। জানা গিয়েছে, অই বীজ বিক্রি করে দিয়েছে হিমঘর কর্তৃপক্ষ। আরেক আলু চাষি অমর রায় ভেবেছিলেন, দাম বাড়লে তারপরে আলু বিক্রি করবেন। সেই আশায় পঞ্চাশ প্যাকেট আলু রেখেছিলেন ওই হিমঘরে। এখন আলুর দাম কিছুটা বাড়ায় সেই আলু আনতে গিয়ে শোনেন তার আলুও বিক্রি করে দিয়েছেন মালিক।
আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ২ ব্লকের কয়াখাতা এলাকার একটি হিমঘরের বিরুদ্ধে এই রকম প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন আলু চাষিরা। ওই হিমঘরের মালিকের বিরুদ্ধে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শামুকতলা রোড পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। আলু চাষীদের অভিযোগ, তাঁদের মজুদ রাখা আলু হিমঘর কর্তৃপক্ষ ফেরত দেয়নি। উলটে হিমঘর বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছেন। ওই হিমঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন ধরছেন না। এই নিয়ে শামুকতলা রোড পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ওই আলু চাষিরা। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আলু চাষি মৃণাল দাস বলেন, "আমি ১০০ প্যাকেট আলুর বীজ ওই হিম ঘরে রেখেছিলাম। এখন আলু চাষের সময় হয়েছে। কিন্তু সেই আলুর বীজ আনতে গিয়ে দেখি হিমঘরের তালা বন্ধ। মালিকপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারিনি। বাধ্য হয়ে বাজার থেকে ধারে আলুর বীজ নিয়ে গিয়ে চাষ করতে হচ্ছে।" আরেক আলু চাষি অমর রায় বলেন, "হিম ঘরে আলু রেখে এভাবে প্রতারণার শিকার হব সেটা ভাবতে পারিনি। এই ঘটনায় হিমঘর কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।"
