অর্ণব দাস, বারাকপুর: নেশামুক্তি কেন্দ্রের মধ্যেই ফের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ! হালিশহরের নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক রোগীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হালিশহরের। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় যে এমন নেশামুক্তি কেন্দ্র গড়ে উঠেছে তা তাঁরা জানতেন না। ঘটনায় অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি উঠেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিকের।
হালিশহর চেক পোস্ট মোড় দু নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাড়িতে ওই নেশাকেন্দ্র গড়ে উঠে। সেখানেই ভর্তি ছিলেন বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তিনি কালনার বাসিন্দা। অভিযোগ, নেশামুক্তির নামে বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে মারধর করা হতো। শুক্রবারও একইভাবে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই নেশামুক্তি কেন্দ্রের বাইরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। দোষীর শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে আসে হালিশহর থানার পুলিশ ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। এর পরই সেখান থেকে গা ঢাকা দেন ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিক বিশ্বজিৎ দাস।
হালিশহর 2 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন, ''বাড়ি ভাড়া নিয়ে নেশামুক্তি কেন্দ্র চালানো হচ্ছিল। যদিও এই সংক্রান্ত কোনও নথি বাড়ির মালিককে জমা দেওয়া হয়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।'' পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্বজিৎ দাসের খোঁজে ইতিমধ্যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে বারুইপুরে এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শিরোনামে এবার হালিশহরের আরও এক নেশামুক্তি কেন্দ্র।
