রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: থানায় ঢুকে 'দাদাগিরি' বিরোধী দলনেতার! নন্দীগ্রাম থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তাঁর সেই 'রণমূর্তি'র ভিডিও ভাইরাল। বিজেপি কর্মীদের গ্রেপ্তারির পর শনিবার সকালেই নন্দীগ্রাম থানায় ঢুকে শুভেন্দু পুলিশের দিকে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলেন। বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, ''যা করেছেন, তার ফল ভুগতে হবে।'' এ বিষয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের বিনা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ আইন মেনে কাজ করছে না।
ঘটনার সূত্রপাত বড়দিন, ২৫ ডিসেম্বর। রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের প্রচারের জন্য সাজানো 'উন্নয়নের পাঁচালি' ট্যাবলো ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ছাব্বিশের ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল সরকার এই ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে। সেভাবেই বড়দিনে নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকায় অটোয় ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ ট্যাবলো নিয়ে চলছিল প্রচারকাজ। সেসময়ই তার উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় ট্যাবলো। এই অশান্তিতে অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে একজন বিজেপি মণ্ডল সভাপতির ভাই। আর তাঁর গ্রেপ্তারিতেই কার্যত ফুঁসে ওঠেন শুভেন্দু।
এদিন নিজের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁর অভিযোগ, 'নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলেমারা গ্রামের সক্রিয় বিজেপি কার্যকর্তার বাড়িতে নন্দীগ্রাম থানার আইসির নির্দেশে পুলিশ কোনোরকম আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই, বিনা নোটিশে সাধারণ বেশে রাত্রে হানা দেয়। কারণ কি? না তাকে তৃণমূলে যোগ দিতে হবে। তফসিলি সম্প্রদায়ের ঐ বিজেপি কার্যকর্তা সে সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাকে না পেয়ে পুলিশ তার স্ত্রী ও ছোটো কন্যার উপর অত্যাচার করে, মারধর ও করে, বাচ্ছাটি কে ফেলে দেওয়া হয়, মহিলার পরনের পোশাক ছিঁড়ে দেয় হয় ছবি ভিডিও নিচে দ্রষ্টব্য। শুধু তাই নয় কোনো মহিলা পুলিশ সে সময় ছিলেন না, পুলিশের সাথে কোনোও বডিক্যাম ও ছিল না। আমি মমতা প্রশাসন কে সাবধান করতে চাই আপনারা এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করুন। এভাবে মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে, চাপ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলীকরণ করা যাবে না।' এরপরই থানায় ঢুকে পুলিশকে শুভেন্দুর হুমকির ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
