রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: বুথের ভোটার সংখ্যা ১১৭৬। শুনানি পর্বে ডাক পেয়েছেন ৪৯১ জন! বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল তেহট্টে। ভোটারদের দাবি, তাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় থাকার পরও তাঁদের শুনানিতে ডাকা হচ্ছে।
বিডিও অফিস শুনানি কেন্দ্র হওয়ায় অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন সেই কথা জানিয়ে, ভোটারদের দাবি, গ্রামে শুনানি কেন্দ্র করতে হবে। এতজন ভোটারকে শুনানিতে ডাকায় বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন পলাশীপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য।
তেহট্ট-১ ব্লকের পলাশীপাড়া বিধানসভার চাঁদেরঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৫ নম্বর বুথে ভোটার সংখ্যা ১১৭৬। প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি ভোটারকে শুনানির জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য অংশের মতো শনিবার থেকেই শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এই বুথেও। কিন্তু এতজনকে শুনানিতে ডাকায় প্রশ্ন তুলেছেন ভোটাররা। চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।
ভোটারদের অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও এই বিপুল সংখ্যক ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার তেহট্টের জিৎপুর মোড় থেকে মিছিল করে তেহট্ট–১ বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য-সহ দলের নেতা-কর্মীরা।
বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, বিজেপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলের শক্তিশালী বুথকে নিশানা করেছে। তাঁর দাবি, নোটিসপ্রাপ্ত ৪৯১ জনের মধ্যে শুধুমাত্র সাধারণ ভোটারই নন, রয়েছেন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য তুহিন মণ্ডলের নামও। পাশাপাশি বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও প্রতিবন্ধী মানুষও রয়েছেন সেই তালিকায়।
তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও সঞ্জীব সেন জানান, নোটিসপ্রাপকদের মধ্যে ৪৮৪ জন ভোটারদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকলেও বিএলও অ্যাপ-এ তাঁদের তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমরা নজরে রাখছি, যাতে কেউ সমস্যায় না পড়েন। পাশাপাশি তিনি জানান, সম্ভব হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়েই শুনানি পর্ব করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
