অরিজিত গুপ্ত, হাওড়া: সাত বছরের এক নাবালিকাকে নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। অভিযুক্ত এক ঠিকাকর্মী। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই একেবারে রণক্ষেত্রের আকার নিল ডোমজুড় (Domjur) থানার অন্তর্গত রাঘবপুর এলাকা। চলে ব্যাপক ভাঙচুর। শুধু তাই নয়, ঠিকাদার সংস্থার একের পর এক বাইক, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। যা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। নামানো হয় র্যাফ। অন্যদিকে রাতেই ঘটনায় ডোমজুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন ওই নাবালিকা। পুজো দিয়ে, ভোগ খেয়ে রাতে রাস্তা দিয়ে একাই ফিরছিল ওই নির্যাতিতা। রাতে সেখানে রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। অভিযোগ, রাস্তা তৈরির কাজে যুক্ত ঠিকাদার সংস্থার এক কর্মী ওই নাবালিকাকে জোর করে রাস্তা থেকে নির্মীয়মাণ একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানেই চলে যৌন নির্যাতন, সঙ্গে পাশবিক অত্যাচার। পরে পুরো বিষয়টি নাবালিকা তাঁর মাকে জানায়।
আর এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই একেবারে রণক্ষেত্রের আকার নেয় রাঘবপুর এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতেই হাওড়া হাসপাতালে ওই নাবালিকার মেডিক্যাল করানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ওই নাবালিকার এবং তাঁর মায়ের গোপন জবানবন্দি নেবে পুলিশ।
শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশিও শুরু করেছে পুলিশ। ঠিকাদার সংস্থার অন্যান্য কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
