অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: অভিনেত্রী পল্লবী দে-ই নয়, এর আগেও আত্মহত্যা করেছিলেন সাগ্নিক চক্রবর্তীর (Sagnik Chakraborty) আরও এক প্রেমিকা। প্রকাশ্যে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই আত্মহত্যার জন্যও দায়ী সাগ্নিক, এমনটাই দাবি সেই কিশোরীর বাবা-মায়ের। পাশাপাশি ঐন্দ্রিলাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁরা।
পল্লবী দে’র মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। কীভাবে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন, প্রেমিক সাগ্নিকই বা কেমন ছিলেন, সেই সব কিছু নিয়েই প্রশ্ন নানামহলে। এরই মাঝে সাগ্নিক সম্পর্কে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। হওড়ার জগাছার বাসিন্দা সাগ্নিকের জীবনে প্রেম এসেছিল স্কুল জীবনেই। সে যখন নবম শ্রেণির ছাত্র সেই সময় জগাছার বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সৌমি মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল সাগ্নিক। সেই সম্পর্ক প্রায় ৪ বছর টিকেছিল।
[আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, তবে এখনই কাটবে না গরম]
সৌমি মণ্ডলের বাবা অজয়কুমার মণ্ডল বুধবার জানিয়েছেন, মেয়ের সঙ্গে বিত্তবান পরিবারের সন্তান সাগ্নিকের প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন তিনি। একাধিকবার বাড়িতে মেয়ে ও তার প্রেমিককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছিলেন। মেয়েকে সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু কথা শোনেনি সৌমি। ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়ে ঘর থেকে উদ্ধার হয়ে কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। এদিকে ২০১৩ সালে সুকন্যা মান্নার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল পল্লবী দে’র (Pallavi Dey) প্রেমিক সাগ্নিক।
সৌমির বাবা ও মায়ের অভিযোগ, সাগ্নিকের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছিল তাঁদের মেয়ে। এ বিষয়ে জগাছা থানায় গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু লাভ হয়নি। মণ্ডল দম্পতির দাবি, সাগ্নিক অত্যন্ত বদমেজাজি একটি ছেলে। এলাকায় দু্র্নাম রয়েছে। ২০১৪ সালে সাগ্নিকের পরিবার প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে বাঁচিয়ে নেয়। পুলিশ অভিযোগও নেয়নি। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সেই সময় থেকেই সাগ্নিকের যোগাযোগের বিষয়টিও জানিয়েছেন তাঁরা। সৌমির বাবা -মার কথায়, পল্লবীর মৃত্যুর সঙ্গে সাগ্নিকের যোগ থাকা একেবারেই অসম্ভব নয়। ঘটনার পর্যাপ্ত তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন।