গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: এনআরসির (NRC) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হলেন মহিলা নাগরিক কমিটির সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহাকুমার ইটিণ্ডা রোড ইছামতী বোর্ড ঘাটে। দল মত ধর্ম নির্বিশেষে এক জায়গায় প্রতিবাদ জানালেন এনআরসি বিরোধী নাগরিক কমিটির সদস্যরা। আইনের প্রতিলিপি পোড়ানো হল। ফলে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল বসিরহাটের ইটিণ্ডা রোড।
সোমবার দুপুরে সংগঠনের সভাপতি আবদুল কাদের, সভানেত্রী বেলা পাল-সহ বিভিন্ন সদস্যরা এনআরসির প্রতিবাদে মিছিল করেন। সেখানেই তাঁরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিলিপি পোড়ালেন। এদিন এই কমিটির মহিলা সদস্যরা এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে নামেন। প্রত্যেকের গলায় ছিল ফেস্টুন, ব্যানার। এছাড়া মঞ্চ বেঁধে সাধারণ মানুষকে এই বিলের সারমর্মও বোঝান। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করেন। এই আইনের প্রতিবাদ জানাতে আহ্বানও জানান। এখানেই শেষ নয়, এর বিরুদ্ধে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন যাতে হয় সেই নিয়েও অঙ্গীকারবদ্ধ হন।
[আরও পড়ুন: পরনে সাদা শাড়ি, মুখে বিকট শব্দ, লাটাগুড়ির জঙ্গলে পর্যটকের গাড়ির সামনে দাপাদাপি ‘জ্যান্ত পেত্নী’র!]
এর আগেও এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। যদিও করোনা আবহে এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে খানিকটা শিথিলতাও দেখা দিয়েছিল। তবে বর্তমানে সংক্রমণ কমায় নতুন করে মহকুমা নাগরিক কমিটি গঠন করা হল। তবে ফের একজোট হয়ে এবার আন্দোলন শুরু করল সীমান্ত শহরের নাগরিকরা।
সম্প্রতি রাজ্যে CAA লাগু করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অশোকনগরে এক দলীয় কর্মসূচিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সহযোগিতা করলে সিএএ তাড়াতাড়ি চালু হয়ে যাবে। নাহলে যখন কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা হবে, লকডাউন (Lockdown) পরিস্থিতি কেটে যাবে, তখন সিএএ লাগু করা হবে।” একদিকে নাগরিকত্ব আইন চালু করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতার কথা বলার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার সুবিধামতো সিএএ লাগু করবে, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছে মোদি সরকার। মতুয়া সম্প্রদায় ও তফসিলি জাতির ভোটারদের মধ্যে শান্তনুর প্রভাবের কথা মাথায় রেখেই তাঁকে মন্ত্রী করা হয়েছে। পাশাপাশি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোটের কথাও মাথায় রেখেছে বিজেপি।