shono
Advertisement
Malda Councillor Murder Case

ক্ষমতার লোভে খুন? মালদহের নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রীর দাবিতে আরও ঘনাল রহস্য

৪ দিন কেটে গেলেও হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
Published By: Sayani SenPosted: 05:48 PM Jan 06, 2025Updated: 08:07 PM Jan 06, 2025

বাবুল হক, মালদহ: ইংরেজবাজারের তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকারের হত্যাকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে চারদিন। সোমবারই ছিল তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। এদিন শাসক শিবিরের নিহত নেতার বাড়িতে যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এখনও অধরা মাস্টারমাইন্ড। কেনই বা খুন করা হল তৃণমূল কাউন্সিলরকে, তা স্পষ্ট নয়। ক্ষমতার লোভে কাউন্সিলরকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি তাঁর স্ত্রী চৈতালির। 

Advertisement

তিনি বলেন, "দুলাল চেয়ারম্যান হবেন, এমন কথা চলছিল। আমরা জানতাম। তা নিয়ে কিছু মানুষের হিংসা ছিল। বাবলা রাজনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। অনেকে পিছিয়ে পড়ছিল। যাঁদের ক্ষমতার লোভ, তাঁরাই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন।" পুলিশ অবশ্যই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করবে বলেই দাবি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন। পুলিশ তদন্ত করছে। ভাড়া করে কেউ তো নিয়ে এসেছে দুলাল সরকারকে খুন করার জন্য, সেই মাথাটাকে খুঁজতে হবে। চৈতালি চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতেই পারেন। চৈতালির সঙ্গে দিদির আজকের না, বহুদিনের পরিচয়। আমার মাধ্যমে যেতে হবে তা নয়‌। কী কারণে দুলাল সরকারের নিরাপত্তারক্ষী সরানো হয়েছিল নিশ্চয়ই আগামী দিনে পরিষ্কার হবে, এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। দুলাল সরকারকে খুনের পিছনে যে গোষ্ঠীই হোক না কেন, কোন রাজনৈতিক দলই হোক না, ধরা পড়বেই। দুলালের এভাবে চলে যাওয়া খুবই বেদনাদায়ক।" বলে রাখা ভালো, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফিরহাদ হাকিমও মালদহে যান। নিহত কাউন্সিলরের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার তাঁর নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন। পাইপ লাইন মোড়ে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে করে আসা চার দুষ্কৃতী কাউন্সিলরকে ধাওয়া করে। গাড়ি থেকে নামামাত্রই কাউন্সিলর দৌড়ে তাঁর কারখানার উলটো দিকে একটি দোকানে দৌড়ে যান। বাঁচার চেষ্টা করেন। দুষ্কৃতীরাও ওই দোকানের ভিতরে ঢুকে যায়। কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় কাউন্সিলরের। এই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন এবং বাবলু যাদব। জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে ২ লক্ষ টাকা করে তাদের মাথার দাম ধার্য করা হয়েছে। এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় যে এলাকায় খুন হন কাউন্সিলর, সেখান যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা।

ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ ফরেন্সিক টিমের

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গত ২ জানুয়ারি খুন হন মালদহের কাউন্সিলর।
  • ৪ দিন কেটে গেলেও হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
  • ক্ষমতার লোভে খুন? মালদহের নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রীর দাবিতে আরও ঘনাল রহস্য।
Advertisement