শেখর চন্দ্র, আসানসোল: উত্তরপ্রদেশে কুম্ভমেলায় গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন আসানসোলের বাসিন্দা বিনোদ রুইদাস। পরিবার কোনও ডেথ সার্টিফিকেট পায়নি। তাই নিয়ে বিড়ম্বনায় রয়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। মৃত্যুর আঘাত এখনও টাটকা পরিবারের মধ্যে। তার মধ্যে আরও বিপাকে পড়লেন সদস্যরা। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ আসানসোলের ওই বাড়িতে এসে হাজির। মৃতের পরিবারকে নগদ পাঁচলক্ষ টাকা অর্থসাহায্য দিয়ে তাঁরা ফিরে গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ। এদিকে কাগজপত্র ছাড়া ওই টাকা নিয়ে ফ্যাসাদে পড়েছে পরিবার।

ওই টাকা ব্যাঙ্কে রাখতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা প্রশ্ন করেছেন, কীভাবে ওই টাকা এল? প্রমাণপত্র দেখতে চাওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনায় বিব্রত মৃত বিনোদ রুইদাসের পরিবার। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পুলিশ আসানসোলের ওই বাড়িতে হাজির হয়। তাঁরা সংখ্যায় চারজন ছিলেন বলে খবর। জানানো হয়, কুম্ভমেলায় মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতেই তাঁদের আগমন। এরপরেই পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি বড় খাম।
ব্যাঙ্কের কোনও চেক নয়। পাঁচলক্ষ টাকা নগদে সেই খামে ছিল। জানানো হয়, মোট ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। পাঁচ ভাগে সেই টাকা পাবে পরিবার। মৃতের স্ত্রী শর্মিলা রুইদাস জানান, তাঁর কাছ থেকে সই নেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে টিপ সই দিতে হয়েছে। কিন্তু এই টাকা যে উত্তরপ্রদেশ সরকার অর্থসাহায্য বাবদ দিচ্ছে, তেমন কিছু লেখা বা কাগজ দেওয়া হয়নি। ফলে এই টাকা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
শর্মিলা রুইদাস জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক জানতে চেয়েছে, ওই টাকা কোথা থেকে এসেছে। তাঁদের কথা ব্যাঙ্ক বিশ্বাসও করছে না। এরপর ক্ষতিপূরণের টাকা উপযুক্ত কাগজের মাধ্যমে দেওয়া হোক। নির্দিষ্ট প্রমাণপত্র থাকুক। সেই দাবি তুলেছে ওই পরিবার। ঘটনা জানাজানি হতে প্রতিবেশী ও স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার কেন এভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠাবে? সেই প্রশ্ন উঠছে।