স্টাফ রিপোর্টার, বারাসত: ফের পণের দাবিতে বধূ খুনের অভিযোগ উঠল শহর কলকাতায়। এবার বাগুইআটি এলাকায়। মৃতের নাম নীলিমা দাস। শুক্রবার গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
[আফরাজুল খুনে ‘লাভ জেহাদের’ তত্ত্ব ভিত্তিহীন, দাবি রাজস্থানের তরুণীর]
মৃতার মা কল্পনা দাসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে নীলিমার উপর অত্যাচার চলত। কারণে অকারণে টাকা দাবি করা হত। যা যথাসাধ্য পূরণ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতেও নীলিমাদেবীর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের চাহিদা মেটেনি। দিনের পর দিন তাদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই গিয়েছে। নীলিমা বেশ কয়েকবার নিজের এই অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন মাকে। তবে এ জন্য মেয়ে যে আত্মহত্যা করতে পারে, সে কথা মানতে নারাজ কল্পনা দাস। তাঁর অভিযোগ নীলিমাকে খুন করেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
খবর পেয়েই বাগুইআটি থানার জগৎপুরের নবনিকেতন এলাকায় যায় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। শুক্রবারই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কল্পনাদেবী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নীলিমার স্বামী চন্দন দাসকে। শাশুড়ি ললিতা দাস ও রমনী দাস নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[টাকা চাওয়ায় বাবাকে মার ছেলের, এয়ারগান থেকে গুলি বাবার]
প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহেই পণের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছিল জলপাইগুড়ি জেলার পুরাতন কান্দাপাড়া এলাকায়। স্ত্রী অনুরাধা সাহাকে খুনের অভিযোগ ওঠে জলপাইগুড়ি পুলিশের এএসআই অসীম সাহার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ৩০ নভেম্বর অত্যাচারের সমস্ত সীমা পেরিয়ে যায় অসীম। স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। কোনওমতে স্বামীর কবল থেকে নিজে বাঁচিয়ে সেই অবস্থাতে স্থানীয় কোতয়ালি থানায় পৌঁছান অনুরাধা। সেখানে পুলিশকে সব খুলে বলেন। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে চান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা অনন্ত মহন্তও। তবে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলেই অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা। পরে অবশ্য মৌখিক কথার ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জলপাইগুড়ি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। শুক্রবারের ঘটনাতেও যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
[বিজেপির অস্ত্র মিছিলের পরিণাম রাজস্থানের ঘটনা, তোপ অভিষেকের]
The post বাগুইআটিতে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, পণের দাবিতে খুনের অভিযোগ appeared first on Sangbad Pratidin.
