রাজা দাস, বালুরঘাট: যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করে দেহ পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! দোষী তিনজনকে শনিবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডর নির্দেশ দিল বালুরঘাট জেলা আদালত। অভিযুক্ত মাহাবুর মিয়া, গৌতম বর্মন এবং পঙ্কজ বর্মনকে বিচারক গতকাল, শুক্রবারই দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। প্রথম দুজনের বাড়ি গঙ্গারামপুরে। তৃতীয় অপরাধীর বাড়ি তপন এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের শুরুতে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার বেলঘর মাঠের পাশের একটি কালভার্টের নিচ থেকেই এক মহিলার দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয় গত ৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে। অভিযোগ, ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য পেট্রল ঢেলে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছিল! যদিও মৃতদেহ সম্পূর্ণ পোড়ানো সম্ভব হয়নি। আধপোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছিল পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। একের পর এক তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন তদন্তকারীরা। মামলা শুরু হয় বালুরঘাট জেলা আদালতে। এডিজে ফার্স্ট কোর্টের বিচারক সন্তোষকুমার পাঠকের এজলাসে শুনানি চলতে থাকে। তিনজনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট ফাইল করা হয়। একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণ দাখিল হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। গতকাল, শুক্রবার আদালত ধৃতদের দোষী সাব্যস্ত করে। আজ, শনিবার সাজা ঘোষণা হয়।
বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, "এদিন এডিজে ফার্স্ট কোর্টের বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক রায় ঘোষণা করেন। তিনি ৩০২ ধারায় দোষীদের সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ২০১ ও ৩৪ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডর নির্দেশ দিয়েছেন।" সাজা শুনে খুশি ওই যুবতীর পরিবার।
