সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ফের মাঝনদীতে ডুবে গেল বাংলাদেশি বার্জ। হার্ডউড পয়েন্ট উপকূল থানার বারাতলা ঘাটের কাছে শনিবার বিকেলে বটতলি নদীতে বার্জটি চড়ায় ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। বার্জে থাকা সাতজন নাবিককে উদ্ধার করে নদীতে থাকা অন্য একটি জাহাজে রাখা হয়েছে। রবিবার তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আপাতত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার, বিকেল তখন প্রায় ৫টা। বজবজের CESC থেকে ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল আরিয়াল খান-১ নামে একটি বাংলাদেশি বার্জ। আচমকাই ঝড়ের মুখে পড়ে বার্জটি। কাকদ্বীপের হার্ডউড পয়েন্ট উপকূল থানার বটতলি নদীর বারাতলা ঘাটের কাছে বার্জটি চড়ায় ধাক্কা খায়। ফুটো হয়ে জাহাজে জল ঢুকতে শুরু করে। বিপদে পড়েন নাবিকরা। দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল স্থানীয় মৎস্যজীবী পীর আলি শেখের মাছ ধরার একটি নৌকা। সঙ্গে সঙ্গে ওই মৎস্যজীবী নৌকা নিয়ে ডুবন্ত বার্জটির কাছে গিয়ে পৌঁছান। একে একে বার্জে থাকা সাত নাবিককে উদ্ধার করেন। এরপর এই জলপথ দিয়ে যাওয়া ‘সানিয়া চৌধুরি’ নামের একটি জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া সাতজন নাবিককে নিয়ে ওই জাহাজটি এরপর ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছে গিয়ে নদীতে নোঙর করে।
[আরও পড়ুন: শিশু মৃত্যুর পর হাসপাতালের চিকিৎসকদের ছবি তোলার চেষ্টা, আটক নিহতের পরিজনেরা]
সুন্দরবন জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ‘সানিয়া চৌধুরি’ নামের ওই জাহাজের মালিক উদ্ধার হওয়া সাত নাবিককে রবিবার হার্ডউড পয়েন্ট উপকূল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। উদ্ধার হওয়া নাবিকরা মহ: সোহাগ হোসেন (মাস্টার), আলাউদ্দিন মোল্লা, তাজমুল মোল্লা, মিঠুন শেখ, লিমন, রাজীব মোল্লা ও মহ: মাসুম বিল্লা শেখ। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা উদ্ধার হওয়া নাবিকদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁদের সকলকেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: খুলছে না সেলুন, স্টাইলের মায়া ত্যাগ করে মাথা মুড়িয়ে ফেললেন যুবক-প্রবীণরা]
গত ৯ এপ্রিল ফ্লাইঅ্যাশ ভরতি করে বাংলাদেশে ফেরার পথে দু’টি বাংলাদেশি বার্জের সলিলসমাধি হয়েছিল। ওইদিন সকালে কুলপির ট্যাংরার চরের কাছে হুগলি নদীতে অন্য একটি বাংলাদেশি বার্জের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিন রুমে ফুটো হয়ে ‘এম ভি তোফা’ ও তারিফ’ ডুবে যায়। বিকেলে ফের সাগরদ্বীপের কচুবেড়িয়া ঘাটের কাছে মুড়িগঙ্গা নদীতে বৈদ্যুতিক টাওয়ারে ধাক্কা মেরে ডুবে যায় ‘এম ভি ধ্রুব রূপান্তী’ নামের ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে বাংলাদেশ ফেরা আরও একটি বার্জ। দু’টি ঘটনাতেই দুই বার্জের মোট ১৮ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে তখনও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। বারবার এই দুর্ঘটনায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছে ফ্লাইঅ্যাশের ব্যবসা।
The post ফের সলিলসমাধি ফ্লাইঅ্যাশ ভরতি বাংলাদেশি বার্জের, ৭ নাবিককে পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে appeared first on Sangbad Pratidin.
