নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাংলাদেশে গিয়ে বিয়ে করেছিল। তারপর স্ত্রীকে রেখে ফিরে আসে এপার বাংলায়। স্ত্রী পাশে না থাকায় অন্য তরুণীর প্রতি মন মজেছিল তাঁর। মন যখন চেয়েছে তখন বিয়ে না করলে কি হয়? তাই সেই তরুণীর সঙ্গে বিয়েও করে ফেলে সে। কিন্তু এ খবর চাপা রইল না। পরিবর্তে খবর পৌঁছয় বাংলাদেশি স্ত্রীর কানে। এ রাজ্যে এসে স্বামীকে সবক শেখাতে বেধড়ক মার দিলেন ওই মহিলা। এই দাম্পত্য অশান্তি নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত রইল বনগাঁর গাইঘাটা থানার মোড়লডাঙা।
হরিচাঁদ মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তির ভারত এবং বাংলাদেশ দু’জায়গারই পরিচয়পত্র রয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যায় সে। সেখানেই পেশায় স্কুলশিক্ষিকা তহমিনা খাতুনের সঙ্গে হৃদয় বিনিময় হয় হরিচাঁদের। সে বছরই বিয়ে হয় দু’জনের। বিয়ে সেরেই ভারতে চলে আসে হরিচাঁদ। এখানে এসেও আরেক তরুণীকে ভাল লেগে যায় তার। বিয়েও করে ফেলে সে। সম্প্রতি সে কথা জানতে পারেন তহমিনা। পাসপোর্ট তৈরি করে ফেলেন তিনি। বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে গাইঘাটায় আসেন হরিচাঁদের প্রথম স্ত্রী তহমিনা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে শুরু করেন ওই মহিলা। বিয়ের ছবি দেখালে সকলেই হরিচাঁদের ঠিকানা তাঁকে জানান। সেই মতো ওই মহিলা হরিচাঁদের বাড়ির বাইরে যান। হরিচাঁদকে ঘরের ভিতর রেখে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তিনি। তহমিনা খাতুন বলেন, “আমাকে বিয়ে করে ফের আরও একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে হরিচাঁদ৷ আমি নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করছি।”
[আরও পড়ুন: এবার ভাটপাড়ায় ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’, তৃণমূলে ফিরছেন ১২ জন কাউন্সিলর]
এদিকে, রসালো এই দাম্পত্য অশান্তির খবর লোকমুখে ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকায়। খবর পায় গাইঘাটা থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। হরিচাঁদ সে খবর পাওয়ার পরই বাড়ি থেকে বেরনোর চেষ্টা করে। সেই সুযোগে ওই মহিলা হরিচাঁদকে মারধরের চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ মহিলার কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত হরিচাঁদকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
দেখুন ভিডিও:
The post স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা শুনেই রেগে আগুন, প্রথম স্ত্রীর হাতে মার খেয়ে শ্রীঘরে ‘গুণধর’ appeared first on Sangbad Pratidin.
