টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: স্বাধীনতা দিবসের আগে বাঁকুড়ার (Bankura) পটশিল্পীদের উপহার রাজ্য সরকারের। শুশুনিয়া পাহাড় লাগোয়া ছাতনার ভরতপুর গ্রামে তৈরি হয়েছে ‘মডেল ভিলেজ’ (Model Village)। নতুন করে ১৫ টি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। পটশিল্পীদের জন্য তৈরি ঘরের দেওয়ালে তাঁদেরই শিল্পের ছাপ। রংবেরঙে আঁকা সব ছবি। দেখতে দারুণ। তবে সেসব ঘর নির্মাণে ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ প্রাপকদের। আর সেটাই খুশির আমেজে যেন তাল কেটে দিচ্ছে।

বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ‘মডেল ভিলেজ’ তৈরি করতে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ভরতপুরে ঢালাই রাস্তা, সৌরশক্তি চালিত রাস্তার আলো ও পানীয় জলের সাব-মার্সিবল পাম্প বসেছে। একটি পুকুরও খনন করা হয়েছে। তিন কাঠা জমির উপর শিল্পীদের জন্য মোট ১৫টি বাড়ির ছাদ সব টালির। নীল-সাদা রঙে রাঙানো প্রতিটি বাড়ির দেওয়ালে পটচিত্র (Painting) শোভা পাচ্ছে।
[আরও পডু়ন: সৌরভের সঙ্গে কীভাবে আলাপ হল নিহত স্বপ্নদীপের বাবার? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
পটুয়া বাসুদেব চিত্রকর, রমলা চিত্রকর, আদুরী চিত্রকররা বলছেন, ঘরগুলো খুব দ্রুত তৈরি হওয়ায় ছাদ ঢালাইয়ের মতো কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। বর্ষাকালে এসব ঘরে থাকতে অসুবিধা হয় বলে অভিযোগ তাঁদের। গণেশ করণ নামে আরেক চিত্রকর অবশ্য স্পষ্টই জানালেন, তাঁর এই ঘর পছন্দ হয়নি। যেভাবে ঢালাই হয়েছে, তাতে ঘর ভেঙে পড়তে পারে কয়েকদিন পর। ফলে অখুশি তাঁরা।
[আরও পডু়ন: ‘ফেক নিউজ’ ছড়ালেই ৩ বছরের জেল! নয়া আইন আনছে কেন্দ্র]
পটশিল্পীদের এসব অভিযোগের কথা পৌঁছেছে জেলাশাসক (DM) কে রাধিকা আইয়ারের কানে। শৌচালয় নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ছাদের যে সমস্যা রয়েছে, সেসব টাইলস দিয়ে ঠিক করে দেওয়া হবে। আর শৌচালয় তৈরির টেন্ডার হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে তা তৈরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, পর্যটন বিকাশেও নজর দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি এখানে ‘হোম স্টে’ তৈরি করতে চান, তাহলে তাঁদের জন্য আলাদা করে টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
দেখুন ভিডিও: