সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: তৃণমূল নেতা খুনে বিহার থেকে গ্রেপ্তার শুটার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুরুলিয়ার রেল শহর আদ্রায় খুন হন তৃণমূলের টাউন সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। সেই ঘটনায় আগেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার এক ভাড়াটে খুনিকে নিজেদের হেফাজতে নিল পুরুলিয়া পুলিশ। আরও দুই শুটারের খোঁজে চলছে তল্লাশি। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আদ্রার খুনের ঘটনায় ভাড়াটিয়া খুনিরা আগেই চিহ্নিত হয়েছিল। তিনজনের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে।”
ধৃতের নাম রত্নেশ কুমার পান্ডে (২৮)। বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার কেটিয়া থানার ডিগবাই গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় ট্রাক্টর চালক। পরশু অর্থাৎ শুক্রবারই বিহার থেকে রত্নেশকে গ্রেপ্তার করেছিল জেলা পুলিশের ৫ সদস্যের দল। কিছুদিন আগে থেকে বিহারের ওঁৎ পেতে বসেছিল জেলা পুলিশের দক্ষ অফিসাররা। শেষপর্যন্ত বিহার পুলিশের সমন্বয়ে ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করে তারা। শনিবার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, তিনজন ভাড়াটে খুনিকে আগেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। স্কেচও বানানো হয়। সেই স্কেচের সঙ্গে রত্নেশের মিল রয়েছে। স্কেচের সূত্রে ধরে বাকি দুজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মিটারে নয়, এবার ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপে হলুদ ট্যাক্সি, নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের]
২২ জুন রাতে আদ্রা শহরে তৃণমূল কার্যালয়ে গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবে। এই ঘটনায় ২৩ জুন দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন আরশাদ হোসেন এবং অপরজন মহম্মদ জামাল। আরশাদ ছিলেন পঞ্চায়েতে কংগ্রেস প্রার্থী। আর মহম্মদ জামাল এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী। দুজনই আদ্রার বাসিন্দা। এরপর ২৭ জুন খুনের মাস্টারমাইন্ড তথা আদ্রার সিন্ডিকেটের মাথা আরজু মালিক গ্রেপ্তার হয় বিহারের জামুই জেলার আরসার থেকে। এবার সেই বিহার থেকে ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করা হল। পুলিশের অনুমান, সেখানে রত্নেশকে ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন আরজু।
জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধনঞ্জয় চৌবের খুনের আগে সিসিটিভি ফুটেজে রত্নেশের ছবি ধরা পড়েছিল। বাইকে চেপে তাঁকে ধনঞ্জয়ের কার্যালয়ের দিকে আসতে দেখা গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, বাকি দুই ভাড়াটে খুনি কার্যালয়ের কাছেই রত্নেশের অপেক্ষা করছিল। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
