রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দুর্গাপুজো (Durga Puja 2020) মিটতে না মিটতেই ফের রাজ্য রাজ্যে আসছেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। সম্ভবত নভেম্বরের শুরুতে বৈঠকের কথা থাকলেও নির্দিষ্ট দিন ঠিক করতে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসছেন রাজ্য নেতারা। প্রথম বৈঠকটি হবে মেদিনীপুরে। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি ও হাওড়ার পদাধিকারীদের নিয়ে। রাঢ় বঙ্গের পাঁচ জেলা পূর্ব বর্ধমান, আসানসোল, বীরভূম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া নিয়ে। দ্বিতীয় বৈঠকটি হবে বর্ধমান শহরে। পাশাপাশি বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে রাজ্যে অমিত শাহকে এনে সভা করতে চেয়ে দিল্লির কাছে দরবার করেছে রাজ্য বিজেপি। দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, নভেম্বর মাসেই বাংলায় আসতে পারেন শাহ। তবে, সেই সফরের দিনক্ষণ এখনও নির্দিষ্ট হয়নি।
এদিকে, এসবের মধ্যেই বুধবার বড়সড় রদবদল করা হল রাজ্য বিজেপির সংগঠনে। সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় নতুন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হলেন অমিতাভ চক্রবর্তী। গত এক বছর রাজ্য বিজেপিতে (BJP) অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। বাংলা দখলের যুদ্ধে মাঠে নামার প্রাকমুহূর্তে সংগঠনের সম্পূর্ণ দায়িত্বের এই হাতবদলকে ‘ঘর গোছানোর প্রক্রিয়া’ বলে খবর রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা, চাঞ্চল্য বনগাঁয়]
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রচারক অমিতাভ চক্রবর্তীর রাজ্য বিজেপিতে প্রবেশ এক বছর আগে হলেও তার আগে টানা তিন বছর ওড়িশায় দলের যুগ্ম সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বস্তুত ২০১৬ সালে তৎকালীন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর ইচ্ছাতে এই দায়িত্ব পান দলের ছাত্র সংগঠন বিদ্যার্থী পরিষদ থেকে উঠে আসা অমিতাভ। বালুরঘাট কলেজে পড়াকালীন ছাত্র রাজনীতিতে পা রাখার পর যথাক্রমে এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক ও সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে বিদ্যার্থী পরিষদের পূর্ব ক্ষেত্রের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সম্পাদকের গুরুদায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্যতা ও ধৈর্য ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে বাংলায় সংগঠন সামলানোর গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। নাড্ডার (J.P. Nadda) সফরের আগে এদিন জেলা পর্যবেক্ষক ও রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করেন বাংলায় নিয়োজিত অন্যতম কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশ। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় ও অরবিন্দ মেননের মতো শীর্ষ রাজ্য নেতারাও। পুলিশ হেফাজতে পটাশপুরের স্থানীয় নেতা কালীপদ গড়াইয়ের মৃত্যুতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পুনরায় ময়নাতদন্তের দাবিতে কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে মৃতের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।