টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যেমন কথা তেমন কাজ, রবিবার সকালেই বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে হাজির হলেন বিজেপি সাংসদ চিকিৎসক সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। খতিয়ে দেখলেন বিভীষণবাবুর মেয়ের চিকিৎসার কাগজ পত্র। আজ দুপুরে একটি রক্তপরীক্ষা হবে ওই পড়ুয়ার।
বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে রচনা দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। তবে আর পাঁচজনের থেকে খানিকটা আলাদা। কারণ, দীর্ঘদিন ধরেই ডায়বেটিস ইনসিপিডাসে (Diabetes insipidus) আক্রান্ত সে। ২ বছর ধরে চলছে চিকিৎসা। নিয়মিত নিতে হয় ইনসুলিন। ফলে মাসে মেয়ের চিকিৎসার জন্যই বিভীষণের খরচ হয় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। যা জোগাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে যাবে জানার পরই তাই বিভীষণ স্থির করেছিলেন, অমিত শাহের কাছে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সরকারি সাহায্যের আরজি জানাবেন। ঘটনাচক্রে সেই মুহূর্তে মনের কথা শাহের কাছে প্রকাশ করতে পারেননি বিভীষণ। যদিও পরবর্তীতে তা জানতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, ওই পড়ুয়ার খরচ নেবে বিজেপি। এরপরই রবিবার সকালে বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি যান সুভাষ সরকার।
[আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্প গেল, এবার মোদিও ফুটে যাবে’, অমিত শাহকে খোঁচা দিয়ে মন্তব্য অনুব্রতর]
জানা গিয়েছে, এদিন রচনার সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছেন চিকিৎসক-সাংসদ সুভাষ সরকার। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনে AIMS-এ নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে ওই ছাত্রীর। বিজেপির এই সহযোগিতায় আপ্লুত বিভীষণ হাঁসদা। আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি রাজনীতি করি না। কোনওদিন রাজনীতি করিনি। আজ সুভাষবাবু সরকার আসায় মনে হচ্ছে মেয়েটা ফের সুস্থ হয়ে যাবে।” এসবের মাঝে বিভীষণবাবুর একটাই আবেদন, তাঁকে নিয়ে যেন রাজনীতি না করা হয়। এদিনও তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ হিসেবে মেয়ের চিকিৎসার আবেদন করেছিলাম, কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে নয়। তাই দয়া করে আমাকে কোনও রাজনীতিতে জড়াবেন না।”