দুলাল দে: ফেডারেশনের তিন সদস্যর কমিটিকে আইএসএলের ক্লাবরা প্রস্তাব দিয়েছিল, কতগুলি ম্যাচ খেললে স্লট পাওয়া যাবে, তা জানার জন্য এএফসিকে জিজ্ঞাসা করতে। সেইমতো এএফসির সঙ্গে যোগযোগ করে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। এই মরশুমের পরিস্থিতি বুঝিয়ে এএফসির কাছে জানতে চাওয়া হয়, কটা ম্যাচ খেললে এএফসির স্লট পাওয়া সম্ভব হবে? এএফসি কর্তারা জানিয়ে দেন, ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কটা ম্যাচ, কী ফরম্যাটে করতে চাইছে তা জানিয়ে সরকারিভাবে চিঠি পাঠাতে। তারপরই এএফসি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে জানাতে পারবে এই মরশুমে ক'টা ম্যাচ খেললে এএফসির স্লট পাওয়া সম্ভব হবে। স্বাভাবিক কারণেই এখন লিগের ফরম্যাট এবং ম্যাচ সংখ্যা নির্ধারণ করতে নেমেছেন কর্তারা।
সোমবার দিল্লির ফুটবল হাউসে ফেডারেশনের কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন রবি পুস্কর, ধ্রুবর মতো কয়েকজন ক্লাব প্রতিনিধি। সঙ্গে অনলাইনে মিটিংয়ে ছিলেন বিনয় চোপড়া, মান্দার এবং কন্দর্প সহ আরও কয়েকজন। এদিন আলোচনায় মূল বিষয়টি ছিল প্রতিযোগিতার বাজেট নির্ধারণ। কারণ, বাংলা এবং গোয়া ধরে এবারের আইএসএল চালাতে গেলে ফেডারেশন জানিয়েছে, খরচ হতে পারে ৭০ কোটির মতো। ক্লাবরা জানিয়েছে, প্রতিযোগিতার খরচ কমিয়ে ৪০ কোটির মধ্যে রাখতে হবে। ক্লাব প্রতিনিধিরা জানান, আইএসএলের বাজেট যতক্ষণ না চূড়ান্ত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও ক্লাব মালিকই এই মরশুমের আইএসএল খেলার জন্য নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। সেই কারণেই এদিন, ফেডারেশনের কমিটি এবং ক্লাব প্রতিনিধিরা বাজেট নিয়ে আলোচনায় বসেন। ম্যাচ ধরে ধরে বাজেট করা হয়। তাতে ধরা হয়েছে বাংলা এবং গোয়া ধরে মোট ১৯টা ম্যাচ খেলা হবে। এদিন পুরো বাজেট পেশ করা সম্ভব হয়নি। ঠিক হয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যে পুরো বাজেট তৈরি হয়ে যাবে। তাতে টিভি চ্যানেলে ম্যাচ সম্প্রচারের বাজেটও ধরা হয়েছে। কোন চ্যানেলে ম্যাচ সম্প্রচার হবে তা ঠিক না হলেও, ম্যাচ প্রতি সম্প্রচারের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে।
এই বাজেট তৈরি হয়ে গেলেই ফেডারেশন ঠিক করেছে, দ্রুততার সঙ্গে প্রতিযোগিতার দিনক্ষণ ঠিক করে ক্লাবগুলিকে চিঠি দিয়ে আইএসএল খেলার জন্য তাদের সম্মতি চাইবে। এবার যে ক্লাবগুলি ফেডারেশনের শর্তে এই মরশুমে খেলতে চাইবে, তাদের নিয়েই খেলা হবে। যারা খেলতে চাইবে না, বাইরে রাখা হবে। ক্লাবগুলি যেহেতু প্রতিযোগিতার কমার্শিয়াল পার্টনারের নাম জানতে চেয়েছে, ফেডারেশনও তাই দ্রুততার সঙ্গে কমার্শিয়াল পার্টনার ঠিক করার জন্য নতুন করে শর্ত পরিবর্তন করে টেন্ডার প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একদিকে এই মরশুমের আইএসএল চালানোর প্রস্তুতি চলবে। পাশাপাশি কমার্শিয়াল পার্টনার ঠিক করার প্রস্তুতি। আর এটা দ্রুততার সঙ্গে করতে চাইছে ফেডারেশন। কারণ, হাতে খুবই সময় কম। যদি এই মরশুমে শর্ট টার্মে আইএসএল শুরুর আগেই কমার্শিয়াল পার্টনার ঠিক হয়ে যায়, তাহলে সব সমস্যার সমাধান। না হলে কী হবে কেউ জানে না।
