ধীমান রায়, কাটোয়া: রাতভর নিখোঁজ থাকার পর যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার আউশগ্রামের। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের।
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ভেদিয়ার কাঁটাটিকুরি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম নাসিরুল শাহ। শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। বাবা, মা ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার তাঁর। জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন ওই যুবক। দুই পরিবারের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। অশান্তিও চলছিল। নাসিরুলের স্ত্রী বারবার তাঁকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে সরে আসার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি ওই যুবক। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে বের হন নাসিরুল। রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। এলাকায় খোঁজখবর করেও তাঁর হদিশ পাননি পরিবারের সদস্যরা। পরে সকালে ভেদিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় নাসিরুলের ক্ষতবিক্ষত দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাঁরা দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুন করা হয়েছে যুবককে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
[আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত! এবার ‘রণক্ষেত্র’ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়]
নিহতের বাবা মুনাই শেখ জানান, কাঁটাটিকুরি গ্রামের পাশে মেলা চলছে। শনিবার সন্ধেয় মেলায় যাওয়ার নাম করে তাঁর ছেলে বাড়ি থেকে বের হন। রবিবার সকালে ভেদিয়া বাগদিপাড়ার কাছে রেলসেতুর তলায় তাঁর দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। বুকের নিচে বাঁ দিকে এবং কানের কাছে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। মুনাই শেখের কথায়, “ছেলে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিল বলে শুনেছি। বউমার সঙ্গে নিত্য অশান্তি হত। ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলত বউমা। কিন্তু ছেলে শোনেনি। পরিণতি এমনটা হবে ভাবিনি।” পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পরকীয়ার কারণেই যুবকের এই পরিণতি নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।