পলাশ পাত্র, তেহট্ট: একশো দিনের প্রকল্পে মাটি কাটতে গিয়ে মিলল পাঁচটি সকেট বোমা। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদিয়ার তেহট্টের চাঁদেরহাট পঞ্চায়েত এলাকায়। শেষ খবর অনুযায়ী, সকেট বোমগুলি বালি ও জলে ডুবিয়ে রেখে বম্ব স্কোয়াডে খবর দেয় পুলিশ। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে যথারীতি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি।
[আরও পড়ুন: নতুন করে উত্তপ্ত ভাটপাড়া, পরপর বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্কে স্থানীয়রা]
নদিয়ার তেহট্টের চাঁদেরহাট পঞ্চায়েতে আসনসংখ্যা ১৩টি। গত পঞ্চায়েত ভোটে ৬টি করে আসন পেয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি। আর একটি আসনে গিয়েছিল সিপিএমের দখলে। শেষপর্যন্ত সিপিএমের সঙ্গে জোট করে পঞ্চায়েতটি দখল করে গেরুয়া শিবির। সোমবার সকালে চাঁদেরহাট পঞ্চায়েতের ধোপট্ট এলাকায় একশো দিনের প্রকল্পের মাটি কাটার কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিছুটা মাটি কাটার পর পাইপের মতো একটি অংশ বেরিয়ে পড়ে। যখন আরও কিছুটা মাটি কাটা হয়, তখন মাটির নিচে পাঁচটি সকেট বোমা দেখতে পান শ্রমিকরা। স্রেফ বসতিই নয়, ধোপট্টি এলাকার যেখানে মাটি কাটার কাজ চলছিল, সেখান থেকে একশো মিটারের মধ্যে রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল। ফলে মাটির নিচে সকেট বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। শেষ খবর অনুযায়ী, বোমাগুলি বালি ও জলে ডুবিয়ে রেখে বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, তেহট্টের ধোপট্টি এলাকা মাটির নিচে সকেট বোমা এল কী করে? স্থানীয় তৃণমূল নেতা তুহিন মণ্ডলের দাবি, রাতে এলাকায় জমায়েত করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অসামাজিক কাজকর্ম চলে। এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করার জন্য বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই মাটির নিচে সকেট বোমা লুকিয়ে রেখেছিল। এদিকে বিজেপি নেতা অর্জুন বিশ্বাসের পালটা দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। যে এলাকায় বোমাগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেই এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[ আরও পড়ুন: ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, থমথমে নারায়ণগড়]
The post একশো দিনের প্রকল্পে মাটি কাটতে গিয়ে মিলল সকেট বোমা, আতঙ্ক নদিয়ার তেহট্টে appeared first on Sangbad Pratidin.
