গোবিন্দ রায়: পাচার সংক্রান্ত মামলায় চারদিন দিন শুনানিতে অনুপস্থিত সরকারি কৌঁসুলি। যার জেরে এগোচ্ছেই না মামলার বিচার। সংশ্লিষ্ট মামলায় সরকারি কৌঁসুলিদের বদলের নির্দেশ দিল বনগাঁ আদালত। আগামী ১ আগস্টের মধ্যে এই বদলি করতে হবে বলে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে (DM) এই নির্দেশ দিয়েছেন বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা বিশেষ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার অধিকারী। ১ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের জাল নোট, নিষিদ্ধ ওষুধ ও গরু পাচার (Cattle smuggler) সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলার বিচার পর্ব শুরু হয়েছে বনগাঁর আদালতের এডিজে (দ্বিতীয়) বিচারক প্রদীপ কুমার অধিকারীর এজলাসে। কিন্তু অভিযোগ, মামলায় সরকারি কৌঁসুলি (Public Prosecutor) দিনের পর দিন শুনানিতে হাজির থাকছেন না। যার জেরে পিছিয়ে যাচ্ছে মামলার বিচারপর্ব। নতুন নতুন শুনানির দিন ধার্য করা হলেও সরকারি আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে কাজই হচ্ছে না। ফলে ২০১৬ সালের মামলা ২০২৪ সালে এসেও নিষ্পত্তি হয়নি। যার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে এই সরকারি কৌঁসুলির অনুপস্থিতি।
[আরও পড়ুন: রণতরী আইএনএস ব্রহ্মপুত্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিখোঁজ নৌসেনার নাবিক!]
এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ বনগাঁ (Bongaon) আদালতের বিচারক। এবার সরকারি কৌঁসুলি বদলের নির্দেশ দেওয়া হল। আদালত সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় ধরা পড়েছিল বেশ কয়েক লক্ষ টাকার জাল নোট (Fake notes)। কয়েকবার গরু পাচারের সময়েও তা ধরা পড়ে। এবং তরল মাদক তথা নিষিদ্ধ ওষুধ ফেনসিডিল পাচারের সময়ও কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে বনগাঁ থানার পুলিশ। কিন্তু গত আট বছরে সেই সংক্রান্ত মামলাগুলির নিষ্পত্তি হয়নি। তার জন্য সরকারি কৌঁসুলির দিনের পর দিন অনুপস্থিতিকেই দায়ী করেছে আদালত। তার শাস্তিস্বরূপ তাঁদের বদল করে অন্য আইনজীবী আনার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।