জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ফের অশান্ত হওয়ার পথে বাংলাদেশ। ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে। বিক্ষোভের আগুনে পুড়েছে সেখানকার প্রথম শ্রেণির একাধিক সংবাদমাধ্যমের দপ্তর। এমনকী ভারতীয় দূতাবাসেও হামলার ঘটনা ঘটেছে খবর। নতুন করে বাংলাদেশ উত্তপ্ত হতেই সীমান্তে (India Bangladesh Border) বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। কড়া নজর রাখছে বিএসএফ (BSF)। এর মধ্যেই আজ শুক্রবার বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখান বলে খবর। ভারতের চক্রান্ত রয়েছে! এহেন অভিযোগে দীর্ঘক্ষণ এই বিক্ষোভ চলে বলে সূত্রের খবর।
এহেন আন্দোলনের পরেই পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ে৷ পেট্রাপোল বন্দরের গেট অবরুদ্ধ করে প্রচুর বিএসএফ জওয়ান দাঁড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অশান্তি আঁচ যাতে কোনওভাবে এপারে যাতে না পড়ে সেজন্য পেট্রাপোল সীমান্তে বাহিনীর গতিবিধি অন্যদিনের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, সীমান্ত এলাকাগুলিতেও বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় নিরাপত্তা অনেক বেশি চোখে পড়েছে এদিন৷
এদিন পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন ঢাকা মিরপুর-সহ একাধিক বাংলাদেশি। কেউ এসেছেন চিকিৎসার প্রয়োজনে কেউ বা আত্মীয় বাড়িতে যাবার জন্য। তাঁদের কথায়, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে বিক্ষোভ আন্দোলন ভংকর আকার নেয়। তবে আজ শুক্রবার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি। যদিও ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি৷ অন্যদিকে বাংলাদেশের ঢাকা থেকে আসা মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক ভারতীয় যাত্রীর কথায়, 'ওই দেশে যা হয় ওরা ভারতকে দোষারোপ করে। ওদের নেতা মৃত্যুর পর এখন ভারত বিদ্বেষী ভাষণ চলছে বাংলাদেশে।'
পেট্রাপলের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীপক ঘোষ বলেন, ''শুনেছি ওরা ওই দেশের বেনাপোলে বিক্ষোভ করেছে। সেই কারণে আমাদের দেশে বিএসএফে একটু তৎপরতাও বেড়েছে।'' দীপকবাবুর কথায়, ''পেট্রাপোল দিয়ে ব্যবসার অবস্থা খারাপ ১৭ থেকে ১৮ মাস ৷ তার উপরে ফের এমন পরিস্থিতি হলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে না খাওয়ার পরিস্থিতি হবে ৷ কারণ আমরা ভারত বাংলাদেশ ব্যবসার উপরে নির্ভর করে ব্যবসা করি।''
