সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বৃদ্ধ ও বিশেষভাবে সক্ষমদের এসআইআর শুনানির নামে হেনস্তা কেন? প্রতিবাদে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক সি মুরুগানকে ঘিরে বিক্ষোভ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে (Magrahat)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশের তৎপরতায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
বিক্ষোভে উত্তাল শিরাকোল হাই স্কুল।
রাজ্যে এসআইআরের শুনানি পর্ব চলছে। বহু মানুষ হিয়ারিংয়ের নোটিস পেয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নরাও। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা। সবমিলিয়ে হেনস্তা হতে হচ্ছে। সোমবার শুনানির কাজ খতিয়ে দেখতে মগরাহাটের (Magrahat) শিরাকোল হাই স্কুলে যান জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক সি মুরুগান। তাঁকে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার উস্তি থানা এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্ন, বৃদ্ধ ও বিশেষভাবে সক্ষমদের এসআইআর শুনানির নামে হেনস্তা কেন? সি মুরুগানের কাছে উত্তেজিত জনতার দাবি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও বিশেষভাবে সক্ষমদের বাড়ি গিয়ে হিয়ারিং করতে হবে।
এখানেই শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে, হিয়ারিংয়ে কেন বিএলএ ২ দের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়েও বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুরুগান। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একাংশ। প্রসঙ্গত, বৃদ্ধদের হেনস্তার প্রতিবাদে আগেই ফুঁসে উঠেছিন তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় রবিবার বলেন, “বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের এভাবে হেনস্তা বরদাস্ত করব না। তৃণমূলের তরফে আগামিকাল প্রতিনিধিদল যাবে কমিশনে।” এরপরই অভিষেকের প্রশ্ন, “দেশের মধ্যে একমাত্র তৃণমূলই এর প্রতিবাদ করেছে। যদি প্রবীণদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা থাকে তাহলে কেন হিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে তা হবে না?” এবার একই অভিযোগে বিক্ষোভের মুখে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক।
